নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ভোরবেলা ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু (Death)হল চার মহিলা শ্রমিকের। মেঘলা আকাশ, কুয়াশা ঢাকা রাস্তায় দেখতে না পেয়ে চার মহিলাকে পিষে দিয়ে চলে যায় একটি ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। পরে একজন হাসপাতালে মারা গিয়েছেন বলে খবর। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাট (Rampurhat) তারাপীঠের সংযোগস্থলে মুনসুবা মোড়ে। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১১ জন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ রামপুরহাট ১ ব্লকের চিতুরি গ্রাম থেকে শ্রমিকরা বেড়িয়েছিলেন মাড়গ্রামের উদ্দেশে। সেখানে তাঁরা ধান রোপণের কাজ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন। অন্যান্য দিনের মতো আজও যন্ত্রচালিত ভ্যানে ১৫ জন শ্রমিক মিলে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মাড়গ্রাম যাচ্ছিল। ভোরের আলো তখনও ভালোভাবে ফোটেনি। মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। ভ্যানের আলো না থাকায় দৃশ্যমানতা অতি কম ছিল। অন্যদিকে, মল্লারপুরের দিক থেকে জাতীয় সড়ক ধরে আসছিল ছ চাকার একটি ট্রাক (Truck)। আচমকাই তা ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। সকলে ছিটকে পড়ে যান। এর পর তিন মহিলাকে পিষে দিয়ে যায় ট্রাকটি। এমনই ভয়াবহ ঘটনার কথা জানালেন ভ্যানে থাকা আহত শ্রমিকরা।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে রাসমনি সর্দার, লীলা লেট ও রাখি সর্দারের। এছাড়া একজনের মৃত্যু হয়েছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Rampurhat Medical College Hospital)। জখম হয়ে ১১ জন সেখানে ভর্তি। এমনিতে জাতীয় সড়কে ভ্যান চলাচল নিষিদ্ধ। তবে ভোরবেলা হওয়ায় নজরদারি এড়িয়েই ভ্যানটি জাতীয় সড়ক ধরে মাড়গ্রাম যাচ্ছিল। ভ্যানের শ্রমিক সোমনাথ সর্দারের কথায়, ”মল্লারপুরের দিক থেকে আসা একটি ছ চাকা ট্রাক আমাদের ভ্যানে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। আমরা ছিটকে পড়ি। দেখি আমাদের তিনজনকে পিষে দিয়ে চলে গিয়েছে। ওই ভ্যানে ছিলেন চিতুরি গ্রামের শ্রমিক হিসাবে কাজে যাওয়া রাখি লেট। আমরা একদিকে ছিটকে পড়লাম। আর কয়েকজন রাস্তার উপর পড়ল। পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁদের পিষে দিয়ে চলে গেল।”
গত বছর একইভাবে মল্লারপুর থেকে কাজে যাওয়া শ্রমিকদের গাড়িতে জাতীয় সড়কে ধাক্কা মারলে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই শোক মিটতে না মিটতেই ফের চিতুরি গ্রামেরই চার মহিলা শ্রমিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.