সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাদা বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘায় আদৌ কি পা রাখতে পারবেন তরুণ বাঙালিরা? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল পাহাড়প্রেমীদের মনে৷ উৎকন্ঠার শেষে তাঁদের মুখে হাসির ঝলক৷ বুধবার ভোরে পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গে পা রাখলেন চার বাঙালি৷ ৮৫৮৬ মিটার উচ্চতায় উড়ল ভারতীয় পতাকা। বাংলার পর্বতারোহণের ইতিহাসে নয়া অধ্যায়ের সূচনা৷
৪ এপ্রিল কাঞ্চনজঙ্ঘার পথে রওনা দেন সোনারপুর আরোহী ক্লাবের বিপ্লব বৈদ্য, রুদ্রপ্রসাদ হালদার, হৃদয়পুরের বাসিন্দা এবং মাউন্টেন কোয়েস্ট ক্লাবের সদস্য রমেশ রায়, ইছাপুরের শেখ সাহাবুদ্দিন ও হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের কুন্তল কাঁড়ার। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পূর্বা, মিংমা, দাওয়া তেম্বা, দাওয়া সিরিং এবং দাওয়া নামের পাঁচ জন দক্ষ শেরপা। লড়াইটা ছিল যথেষ্ট কঠিন৷ পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে প্রায় মাসখানেক ধরে চলে মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি। ১০ মে ক্যাম্প-২ তে পৌঁছান পর্বতারোহীরা৷ তাঁরা ঠিক করেন ১১ মে বিশ্রাম নেবেন৷ তার পরের দিন তাঁরা ক্যাম্প-৩ পৌঁছে যাবেন বলে স্থির করেন। কিন্তু বাদ সাধল খারাপ আবহাওয়া৷ তাই সেদিন ক্যাম্প-২ তেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ১৩ মে ক্যাম্প-৩-তে পৌঁছান পর্বতারোহীরা৷ পরেরদিন ভোরে শুরু করেন ক্যাম্প ফোর অর্থাৎ সামিট ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে যাত্রা। মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হয় ‘ফাইনাল অ্যাটেম্পট’৷
বাঙালি পর্বতারোহীরা যে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় পৌঁছানোর জন্য অদম্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই খবর ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি৷ সেকথা শোনার পর থেকে উৎকণ্ঠাই যেন গ্রাস করেছিল বাঙালি পর্বতপ্রেমীদের৷ বুধবার সকালে খবর আসে, পাঁচজনের মধ্যে চারজনই বাংলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া ছুঁয়েছেন। সুস্থভাবে ফিরে আসুন তাঁরা, সেই প্রার্থনাই করছেন সকলে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.