চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: গ্রাম খালি হতেই ফের দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে কুলটির বেনাগ্রাম। আশপাশের মানুষের কাছে ‘ভূতগ্রাম’ নামেই যার পরিচয়৷ গভীর রাতে গোপন অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র চার দুষ্কৃতিকে পাকড়াও করল কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ৷ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নিয়ামতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহুল দেব মণ্ডল৷
[ত্রিকোণ প্রেমের জের, বিউটি পার্লারের মালকিন খুনে গ্রেপ্তার ২]
রাতে চিত্তরঞ্জন রোডের পাশের রাস্তা দিয়ে বেনাগ্রামে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা৷ তাঁরা দেখতে পান, দূরে একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। পাশে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী জটলা করে রয়েছে। অতর্কিতে তাদের ঘিরে ধরে পুলিশের বিশাল বাহিনী। কয়েকজন পালাতে সক্ষম হলেও, ধরা পড়ে যায় চারজন। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি দেশি রিভলবার, একটি পাইপগান, দু’রাউন্ড গুলি, একটি অস্ত্র। মিলেছে নগদ সত্তর হাজার টাকা। গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
[‘গোয়েন্দা’ ভাইয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে গ্রেপ্তার ‘ইঞ্জিনিয়ার’ দাদা]
উল্লেখ্য, কুলটির বেনাগ্রাম দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ উঠছে দীর্ঘদিন ধরেই। অভিযোগ, ভূতের ভয় দেখিয়ে গ্রামবাসীদের ভিটেমাটি ছাড়া করতে বাধ্য করে দুষ্কৃতীরা। কখনও পোড়া লাশ, মাথার খুলি বা মাঝরাতে দরজায় কড়া নেড়ে ভয় দেখানো হত গ্রামবাসীদের। সব জানলেও ভয়ে মুখ খুলতে চাইতেন না গ্রামবাসীরা। চারদিকে রটিয়ে দেওয়া হয় ভূত রয়েছে গ্রামে। ভিটেমাটি ছেড়ে একে একে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান বাসিন্দারা। অভিযোগ, জঙ্গলের মধ্যে পোড়ো বাড়িতেই নিজেদের নিশ্চিন্তের ডেরা বানিয়ে বসে দুষ্কৃতীরা। বছরে একবারই গ্রামের মানুষরা ফিরে আসেন৷ কেবলমাত্র লক্ষ্মীপুজোর দিন গ্রামের লক্ষ্মী মন্দিরে জড়ো হন সকলে৷ এবছরও তাতে ভাঁটা পড়েনি৷ পাশাপাশি, গ্রামে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া৷ আর তাতেই কুসংস্কারের জাল কেটে আলো জ্বলেছে কুলটির বেনাগ্রামে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.