ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: ফের বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনাটি ঘটল আমডাঙায়। দ্রুতগামী বোলেরো’র ধাক্কায় চলন্ত ভ্যান থেকে ছিটকে পড়লেন চারজন। তারপরেও থামেনি বোলেরোর গতি। চলন্ত ভ্যানটিকে বেশ খানিকদূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় বোলেরো। তারপর চালকের হুঁশ ফেরে। ততক্ষণে ভিড়় জমে গিয়েছে। মাথা বাঁচাতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় চালক। আহতদের উদ্ধার করে আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকেই বারাসত সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা থানা এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া আড়খালি গ্রামে।
দুর্ঘটনার পরেই বোলেরোটিতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। চালককে না পেয়ে গাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়ক আটকে বিক্ষোভ শুরু করে জনতা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আমডাঙা থানার পুলিশ। থানা থেকেই দমকলে খবর যায়। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে বিক্ষোভের জেরে বন্ধ গিয়েছে জাতীয় সড়কের যান চলাচল। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে আসরে নামে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ জনতাকে হটিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বারাসত থেকে তীব্র গতিতে আসছিল বোলেরোটি। সেই সময়ই আড়খালি গ্রাম থেকে তিনজন যাত্রী নিয়ে জাতীয় সড়কে উঠছিল ভ্যানটি। মোড়ের মাথায় এসে গতি কমাতে না পেরে চলন্ত ভ্যানে সোজাসুজি ধাক্কা মারে। ধাক্কার তীব্রতায় চালক-সহ ভ্যান থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান তিন যাত্রী। তাতেও হুঁশ ফেরেনি বোলেরোর চালকের। বেশ খানিকটা দূর পর্যন্ত ভ্যানটিকে টেনে নিয়ে যায় চালক। দুর্ঘটনার পরই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় চালক। চালকের খোঁজ না মিললেও গাড়িটি নদিয়ার বলে খবর।
গত দুদিন ধরে একের পর এক পথদুর্ঘটনা ঘটছে রাজ্যে। সকালেই মেদিনীপুরের শালবনীতে ট্রেকার ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল চিংড়িঘাটায় সরকারি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃ্ত্যু হয় দুই কলেজ ছাত্রের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.