নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: অবশেষে পুলিশের জালে সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জন। শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। অন্যান্যদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
৮ জুন সন্দেশখালিতে দুজন বিজেপি কর্মী ও একজন তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। ৯জুন রবিবার দুপুরে বসিরহাট হাসপাতালে পৌঁছায় বিজেপি প্রতিনিধিদল৷ দলে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, সায়ন্তন বসু, মুকুল রায়-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ন্যাজাটের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান মুকুল রায়। এরপর কর্মীদের দেহ নিয়ে কলকাতায় আসার চেষ্টা করেন তাঁরা। সেক্ষত্রে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বিজেপির প্রতিনিধি দলকে। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতৃত্বরা। অবশেষে পুলিশের চাপে পিছু হটতে হয় বিজেপি নেতৃত্বকে। গ্রামেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের দেহ। ঘটনায় রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্ধ করে দেওয়া হয় এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা।
এরপর সোমবার দুপুরে নিহত বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডলের স্ত্রী পদ্মা মণ্ডল ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। স্বামী প্রদীপ-সহ খুড়তুতো দেওর সুকান্তর হত্যার জন্য সন্দেশখালি ব্লকের সভাপতি শেখ শাজাহানকে দায়ী করেন তিনি। একই সঙ্গে আরও ২৫জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করেন এফআইআরে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ন্যাজাট থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছে রাজবাড়ির বাসিন্দা আখের আলি গায়েন, জাভেদ আলি মোল্লা, মইনুদ্দিন মোল্লা ও মইজুদ্দিন মোল্লা। শনিবার আদালতে তোলা হলে তাঁদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের জেরা করে অন্যান্য অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.