Advertisement
Advertisement

Breaking News

Shootout

তৃণমূল কর্মী খুনের নেপথ্যে জমি বিবাদ, প্রোমোটিং! বেলঘরিয়া শুটআউটে ধৃত ৪, জেরায় মিলল তথ্য

হত্যাকাণ্ডে ধৃত সুশান্তর সঙ্গেই নিহত রেহানের রেষারেষি ছিল, বারবার হামলা হত, অভিযোগ মৃতের মায়ের।

Four arrested on Belgharia shootout, allegedly based on land dispute
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 3, 2025 7:41 pm
  • Updated:April 3, 2025 8:13 pm  

অর্ণব দাস, বারাকপুর: মদের আসরে বচসার জেরে শুটআউট। সোজা মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জমি বিবাদ, প্রোমোটিং সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে বলে নতুন তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। চারজনকে গ্রেপ্তারির পর এসব তথ্য মিলছে বলে দাবি পুলিশের। ধৃতরা বছর চৌত্রিশের সুশান্ত রায়, ২৫ বছরের মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী ওরফে ঋজু, তিরিশের অভিজিৎ দাস ওরফে অভি এবং আঠাশ বছরের অমর মণ্ডল। এর মধ্যে সুশান্তর সঙ্গে মৃত তৃণমূল কর্মীর সবচেয়ে রেষারেষি ছিল বলে জানা গিয়েছে। তা থেকেই এই খুন বলে প্রায় নিশ্চিত তদন্তকারীরা।

শনিবার রাতে শুটআউটের পর রবিবার ভোরে বেলঘরিয়া থেকে উদ্ধার হয় আনায়াতুল্লা ওরফে রেহানের দেহ। তারপর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। কামারহাটি পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ নগর ক্যানাল রোডের বাসিন্দা রেহান এলাকায় প্রোমোটিং, জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। সঙ্গে ইমারতি সামগ্রীর ব্যবসাও ছিল তাঁর। জানা যাচ্ছে, এলাকায় দাপটের এই ব্যবসায় রেহানের উত্থান হয় সুশান্তকে দমিয়ে। এনিয়ে একবার রেহানকে আক্রান্ত হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ। এবং তার নেপথ্যে সুশান্তর দলবলই ছিল। রেহানের মা নিজে এই অভিযোগ তুলেছিলেন। পরবর্তীতে জমি ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ রেহানের হাতে চলে এলে সুশান্তকে এলাকাছাড়া হতে হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার রাতে বাড়ির অদূরে ফাঁকা জায়গায় ধৃতদের সঙ্গে রেহানের মদ্যপান করা, পরবর্তীতে সেই জায়গা থেকেই তাঁর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া পুরনো এই বিবাদের কারণে। এমনটাই জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশের আরও দাবি, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মীকে খুনের সময় ধৃতরা সকলেই উপস্থিত ছিল বলেও নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল সংলগ্ন রাতের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে রেহানের সঙ্গে ধৃত ঋজু-সহ আরও কয়েকজন হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে। তাদের মধ্যে একজন এখনও অধরা। সেই ব্যক্তিই গুলি চালিয়েছিল বলে ধৃতরা পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছিল।

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, মদের আসরে বিবাদের জেরেই তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি চালানো হয়েছিল। একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও আরেকটি গুলি মাথায় লেগে মৃত্যু হয় আনায়াতুল্লাহ ওরফে রেহানের। বৃহস্পতিবার ধৃত সুশান্ত-সহ চারজনকে বারাকপুর আদালতে পেশ করা হয়। তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর দেবযানী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ”সহকর্মীকে খুনের ঘটনায় যারাই যুক্ত, তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করব।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement