ফাইল ছবি।
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: উৎসবের মরশুমে হাতখরচ জোগাড় করতে নতুন ফন্দি এঁটেছিল দুষ্কৃতীদল। অপহরণ করা হয়েছিল ধনী ব্যবসায়ীর জামাইকে। ভেবেছিল, মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করে সেই টাকায় পুজোর কটা দিন ফূর্তি করবে। কিন্তু বিধি বাম!মুক্তিপণের অর্থ পাওয়া দূরে থাক, উলটে গ্রেপ্তার হয়ে এখন পুলিশ লকআপে দিন কাটাতে হচ্ছে চারজনকে। নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত যুবককেও। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধৃতরা সকলেই দাগি আসামি বলে জানা গিয়েছে।
নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চমীর রাতে এলাকারই এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর জামাইকে বাইপাস লাগোয়া একটি ধাবায় ডেকে নিয়ে আসে চারজন। তার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রানিয়া এলাকায়। ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে ১১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে অপহরণকারীরা। অপহৃত যুবকের শ্বশুর এলাকার প্রতিষ্ঠিত প্রোমোটার। ভয় দেখানো হয়, টাকা রাতের মধ্যেই দিতে হবে। তবে তাতে ভয় না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার কথা তিনি জানান নরেন্দ্রপুর থানায়।
খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রানিয়া এলাকা থেকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অপহৃত যুবককে। পুলিশ তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সোনারপুর সুভাষগ্রামের গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকেই চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা প্রত্যেকেই দাগি আসামি বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। খুন, চুরি, ছিনতাই, অপহরণের মতো সমাজবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তাদের বারুইপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.