সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু শাসকদলের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। এবার দল ছাড়লেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস (Upendra Nath Biswas)। বুধবার সকালে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসির কাছে ইমেল মারফত নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
উপেন বিশ্বাস রাজ্যে পালাবদলের সময় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে ছিলেন। ২০১১ সালে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন। তাঁকে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রীও করেন মমতা। দলেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পদেই ছিলেন তিনি। তৃণমূলের (TMC) কোর কমিটির সদস্য ছিলেন প্রাক্তন এই গোয়েন্দা আধিকারিক। শাসকদলকে সিবিআই সংক্রান্ত মামলাগুলিতে পরামর্শ দিতেন তিনি। তবে ২০১৬ সালে বাগদায় দুলাল বরের কাছে হারতে হয় তাঁকে। ইদানিং সেভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না উপেনবাবু। দলের সঙ্গেও বেড়েছিল দূরত্ব। বুধবার সকালে সরকারিভাবে ইস্তফা দিয়ে দিলেন। দলের কোর কমিটির সদস্যপদের পাশাপাশি তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী হয়, সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। যদিও উপেনবাবু নিজে জানিয়েছেন, “দলের বিরুদ্ধে আমার কোনও ক্ষোভ নেই। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে দল ছেড়েছি। এখন আমি নিজের মতো সময় কাটাতে চাই। আর মমতার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভাল। ওঁকে আমি স্নেহ করি।”
উপেন বিশ্বাস একসময় সিবিআইয়ের (CBI) অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদে ছিলেন। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে বিহারের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র এবং লালুপ্রসাদ যাদবকে (Lalu Prasad Yadav) জেলে ঢোকানোর নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল মমতার কাছের মানুষ ‘উপেনদা’র। রাজ্যে জমি আন্দোলনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন উপেনবাবু। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনেও ছিলেন মমতার পাশে। সম্প্রতি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে দলের সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় উপেনের। পার্টিলাইনের বিরুদ্ধে গিয়ে এই আইনকে শর্তসাপেক্ষে সমর্থন করেন তিনি। তারপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে উপেনবাবুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.