চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল প্রাক্তন বাম বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ। না, এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক লড়াই নয়। শারীরিক অসুস্থতা থেকে অসহ্য কষ্ট তাঁকে জীবনযুদ্ধে হারিয়ে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথে বেছে নিয়েছেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক মানবেন্দ্রনাথ সাহা।
শুক্রবার গভীর রাতের ঘটনা৷ বাম নেতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় নিজের ঘরেই। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের কান্দুরি গ্রামের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয় মানবেন্দ্রনাথের। খড়গ্রাম থানার পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷ বাম ছাত্র রাজনীতির বহু লড়াইয়ের সঙ্গী তিনি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার লড়াইটা লড়তে পারলেন না সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক মানবেন্দ্রনাথ সাহা, এমনটাই জানাচ্ছে বাম নেতার পরিবার। তাঁরা এও জানাচ্ছেন, “অনেকদিন ধরেই তিনি প্যানক্রিয়াস রোগে আক্রান্ত । অসহ্য কষ্ট হত তাঁর। মাঝে মাঝে তাঁর হাত-পা বেঁধেও রাখতে হত। রোগের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তিনি প্রায়ই আত্মীয়দের কাছে জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা বলতেন।” পরিবারের অনুমান, রোগের কষ্ট সহ্য করতে না পেরেই প্রাক্তন বিধায়ক ও বামনেতা আত্মহত্যার পথে বেছে নিয়েছেন।
শনিবার সকালে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও অনুমান, প্রাক্তন বিধায়ক আত্মহত্যাই করেছেন। বাম আমলে ২০০৬-২০১১ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ খড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন মানবেন্দ্রনাথ সাহা। এদিন প্রাক্তন বিধায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাম কর্মী সমর্থকেরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বাম নেতা ও মানবেন্দ্রবাবুর সহকর্মী বিশ্বনাথ বাড়ুই বলেন, “১৯৭৭ সালে বাম ছাত্র রাজনীতির অঙ্গ ছিলেন মানবেন্দ্রবাবু। শিক্ষকতা করেছেন প্রাথমিক স্কুলে। শিক্ষকতার সঙ্গেই বাম আন্দোলনের অন্যতম অঙ্গ হয়ে উঠেছিলেন। দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দলের বড় ক্ষতি হল।”
পাশাপাশি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তাঁরা৷ খবর পেয়ে প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক আশিস মার্জিত এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মফিজউদ্দিন মণ্ডল-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.