পলাশ পাত্র, তেহট্ট: বিজেপির সঙ্গে নিজে থেকে যোগাযোগ করার অভিযোগ অস্বীকার করলেন বহিষ্কৃত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ। করিমপুরের প্রাক্তন বিধায়কের দাবি, বিজেপিই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তিনি শুধু কথা বলেছেন। গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার ব্যপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি প্রত্যয় নিয়ে বলছেন, “আমি কোনওদিনই নিজে থেকে আগ বাড়িয়ে কারও কাছে যায়নি। আমার সঙ্গে ওরা কথা বললে, আমিও বলি। ওরা প্রস্তাব দিয়েছিল। আমার পছন্দ হয়নি। আমি না বলে দিয়েছি।” ক্ষুব্ধ সমরবাবু বর্তমান সিপিএম নেতৃত্বকে একহাত নিতে গিয়ে বলেন, “সিপিএমের নেতৃত্ব প্রমাণ দিক আমি যোগাযোগ রাখছিলাম। আমি নিজ এলাকায় বামপন্থার আদর্শ নিয়েই থাকব।” তবে বিজেপির নেতারা পালটা দাবি করছেন, “দল নয়, সমর ঘোষ নিজে থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।”
দিন তিনেক আগে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে তেইশ বছর আগে পার্টির সদস্যপদ পাওয়া সমরেন্দ্রনাথ ঘোষকে সিপিএম বহিষ্কার করেছে। রক্তক্ষরণ হতে হতে ধুঁকতে থাকা সিপিএম বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও এই যে সাহসী পদক্ষেপ করছে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছেই। কিন্ত এর মাঝেই সমরবাবুর অভিযোগ, অহেতুক সন্দেহ বা অনুমান থেকেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর জন্য পার্টি তাঁকে শোকজও করেনি। সমরেন্দ্র ঘোষ বলেন, “আমার কাছে সবাই আসে। আসতেই পারে। মনে করা যাক আমি বিজেপি করব মনস্থির করেছি। কিন্ত আমি যতক্ষণ বিজেপিতে যোগদান করছি, ততক্ষণ কেউ বলতে পারে না বিজেপি করছি। ওঁরা আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল। এই অনুচ্চারিত কথাটা সুমিত দে কি ভাবে জানল জানি না। জানার কথা নয়।”
বহিষ্কৃত এই প্রাক্তন বিধায়ক সাফ জানিয়েছেন, শোকজ করে তাঁর বক্তব্য শোনেনি দল। অর্থাৎ, আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যা দলের গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “সব সময় যে কন্ট্রোল কমিশনের সামনে দাঁড় করানো হবে বা শোকজ করেই বহিষ্কার করতে হবে, এমন নাও হতে পারে। সরাসরি বহিষ্কার করাও গঠনতন্ত্রে রয়েছে। তবে বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক নিলয় সাহা বলেন, সমরবাবু আমাদের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু এখনও এ নিয়ে দলে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সমরবাবু নিজে বলছেন, আপাতত কোনও দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চান না তিনি। তবে, নিজের এলাকায় বামপন্থা নিয়ে থাকতে চান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.