সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল থেকে আগেই ইস্তফা দিয়েছেন৷ কিন্তু দীর্ঘদিনের রাজনীতির ময়দান ছাড়বেন ‘বিজেপি’র রাজ্যসভার সাংসদ চন্দন মিত্র? বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা সাংসদের রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে চলছিল জল্পনা৷ এবার সেই জল্পনাকে আরও খানিকটা উসকে দিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর৷ সূত্রের খবর, নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার আরও মজবুত করতে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন চন্দন মিত্র৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে তৃণমূলের পতাকা নিজের কাঁধে তুলে নিতে পারেন বিজেপির মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ৷ তবে, আদৌ চন্দনবাবু দলবদল করছেন কি না, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, বিজেপি সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার বহু আগে থেকেই তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ বাড়িয়েছিলেন তিনি৷ বিজেপির ‘দমবন্ধ পরিস্থিতি’ থেকে মুক্তি পেতে ধীরে ধীরে দলের অন্দরে বিদ্রোহ করতে শুরু করেন রাজ্যসভার এই সাংসদ৷ শিব সেনা, জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ), রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টিও (আরএলএসপি) বড় শরিকের সমালোচনায় সরবও হন তিনি৷ বিজেপির অন্দরে লালকৃষ্ণ আদবানি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত চন্দনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটির বনিবনা হচ্ছিল না বলেই খবর৷ সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কৈরানায় উপনির্বাচনে বিজেপির হারের পর দলের সমালোচনাও শোনা গিয়েছিল তাঁর থেকে৷ দলের শাসনতন্ত্র নিয়েও একের পর বিস্ফোরক মন্তব্য করতে থাকেন বর্ষীয়ান এই নেতা৷ দলের অন্দরে বিদ্রোহ এতটা প্রকট হয়ে ওঠে যে সদস্যপদ নবীকরণও করাননি তিনি৷ পরে চলতি সপ্তাহে ইস্তফা দেন চন্দন৷
দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই শুরু হয় জল্পনা৷ তাহলে কি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন তিনি? নাকি বিজেপি থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে দলবদল করবেন? জল্পনার আবহের মধ্যেই রাজনীতির আঙিনায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে দলবদলের খবর৷ বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল চন্দন মিত্রের। আগামী ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চেই তিনি দলে যোগ দিতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর৷ ইতিমধ্যেই বিজেপির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন চন্দন৷
বর্ষীয়ান সাংবাদিক চন্দন মিত্র ২০০৩ থেকে ২০০৯ ও ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন৷ রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসাবে দ্বিতীয়বার বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভায় নিজের আসন পাকা করেন তিনি৷ তবে, বিজেপির মনোনয়নে রাজ্যসভার টিকিট পাকা করতে সচেষ্ট হলেও সরাসরি নির্বাচন অংশ নিয়ে হারের মুখ দেখেন তিনি৷ গত লোকসভা ভোটে হুগলি কেন্দ্র বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.