দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সোনারপুরের ‘দামাল’ জামালউদ্দিন সর্দারের বাড়ি থেকে উধাও কচ্ছপ। খালি হাতেই ফিরতে হল বনকর্মীদের। আগেও দুবার কচ্ছপ উদ্ধার অভিযানে জামালের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেবারও প্রাসাদোপম বাড়ির সুইমিং পুল থেকে কচ্ছপ উদ্ধার করতে পারেননি বনাধিকারিকরা। বর্তমানে জেলবন্দি জামাল। তাঁর অনুপস্থিতিতে কোথায় গেল কচ্ছপ, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।
গত মাসে সামনে আসে সোনারপুরের ‘জমি হাঙর’ জামালের কুকীর্তি। এলাকায় জমিজমা কেনাবেচা বা দাম্পত্য কলহ কিংবা পারিবারিক সমস্যা সবকিছুরই সমাধান জামাল ছাড়া হয় না। সোনারপুর থানার পুলিশের সঙ্গেও তার ওঠাবসা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের। এই ভয় দেখিয়েই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত জামাল। বাড়িতেই বসত সালিশি সভা। সেখানেই চলত বিচার। জামালই বিচারক! যারা তাঁর প্রস্তাবে রাজি হত না তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই জামালের আয়ের উৎস বলতে পারেননি। তবে একাংশের দাবি, জমি প্রোমোটিং, ফেরাজি জমি বিক্রি করা, বিচার পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজি এবং জমি বিক্রি এসব করেই নাকি পেট চলে তাঁর। তবে প্রাসাদোপম বাড়ির মালিক জামাল। ভিতরে এলাহি ব্যাপার। গৃহস্থের বাড়ি নাকি রিসর্ট, তা বোঝা দায়। বাড়ির ভিতর ও বাইরে মিলিয়ে মোট ৫০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। বাড়ির মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুল। সেই সুইমিং পুলেই থাকত কচ্ছপ। বনদপ্তরের নিয়ম বলছে, কচ্ছপ রাখা বেআইনি। সে কারণে বার বার জামালের সুইমিং পুলে থাকা কচ্ছপ উদ্ধারে তৎপর বনদপ্তর। তবে বার বার তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েও কচ্ছপ উদ্ধার করতে পারেননি বনকর্মীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.