অরূপ বসাক, মালবাজার: দিনকয়েক ধরে ডুয়ার্সে দাপাদাপি করছিল সে। তার আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। মৃত্যুভয় যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছিল তাঁদের। তবে শুক্রবার সকালে কাটল আতঙ্কের ঘোর। বহুদিন বাদে খাঁচাবন্দি করা হল ওই চিতাবাঘটিকে। মালবাজার মহকুমার ডামডিম চা বাগানের ২৩ নম্বর স্ত্রী চিতাবাঘকে ধরা হয়। খাঁচার মধ্যে দাপাদাপির কারণে চিতাবাঘটির মাথায় এবং মুখে আঘাত লাগে।
এলাকার বাসিন্দা রাজু ওরাওঁ, দীনেশ রাই, মিনা ওরাওঁরা বলেন, “বহুদিন যাবৎ ডামডিম চা বাগানে চিতাবাঘের উপদ্রব বেড়েছে। মাঝেমধ্যেই বাগানের শ্রমিক বস্তিতে রাতের অন্ধকারে চিতাবাঘ হানা দিচ্ছিল। গবাদি পশু, বৃদ্ধ, শিশুদের তুলে নিয়ে যেত। পাশাপাশি বাগানে কাজ করতে গিয়েও বেশ কয়েকজন শ্রমিক সম্প্রতি চিতাবাঘের হামলায় জখম হন।” যতই দিন যাচ্ছিল ততই যেন এই চা বাগান এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক গ্রাস করেছিল স্থানীয়দের।
সেই কারণেই চা বাগান কর্তৃপক্ষ বনদপ্তরকে বাগানে খাঁচা পাতার অনুরোধ করে। বৃহস্পতিবার ২৩ নম্বর সেকশনে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতে বনদপ্তর। শুক্রবার ভোরে শ্রমিকরা কাজে যাওয়ার সময় চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি অবস্থায় দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় মালবাজার বনদপ্তরে। তড়িঘড়ি বনকর্মীরা এসে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘটিকে গরুমারায় নিয়ে যান। বনদপ্তরের কর্মী নিতাই দাস বলেন, “এই চিতাবাঘটির চিকিৎসা হবে লাটাগুড়ির এনআইসিতে। শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে বন আধিকারিকদের নির্দেশ মতো গরুমারার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে চিতাবাঘটিকে।” শুক্রবার সকালের পর কিছুটা হলেও যেন আতঙ্ক কাটল স্থানীয়দের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.