Advertisement
Advertisement

Breaking News

Birbaha Hansda

ভস্মীভূত হলং বাংলো দেখে আবেগপ্রবণ বীরবাহা, পুনর্নির্মাণ হবে ঐতিহ্যের বাংলো?

বনদপ্তরের তদন্ত রিপোর্টে অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে এসি-র শর্ট সার্কিটের কথা উল্লেখ। তবে বনমন্ত্রী জানান, এই রিপোর্টই চূড়ান্ত নয়। পুলিশ ও দমকল বিভাগের তরফে আলাদা রিপোর্ট জমা হবে।

Forest minister Birbaha Hansda gets emotional to see devastated Hallong Bunglow and hints about rebuilt
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 22, 2024 8:01 pm
  • Updated:June 22, 2024 8:54 pm  

রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: এক রাতের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী হলং বাংলো। এখন আর তার নামমাত্র অস্তিত্ব নেই। আলিপুরদুয়ারের ইতিহাসে এ এক বিরলতম ঘটনা! পর্যটকরা তো বটেই, এই ঘটনায় বনকর্মীরা সবচেয়ে বেশি বিষণ্ণ, হতাশ। অগ্নিকাণ্ডের দিন তিনেক পর ভস্মীভূত হলং বাংলো পরিদর্শনে গিয়ে কার্যত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ”হলং আবার আগের মতো হয়ে উঠুক। হলং বাঁচুক হলংয়ের মতো করে।” তবে কি ফের নির্মাণ করা হবে বাংলোটি? তার জবাবে বনমন্ত্রী জানান, ”আমরা মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতির অপেক্ষায় আছি। আমরা চাই, হলং বাংলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে।” তাহলে অগ্নিকাণ্ডের দায় কার? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

হলং বাংলো পুড়ল কী কারণে? বনদপ্তরের (Forest Department) তদন্ত রিপোর্ট বলছে, এসি-তে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেই অঘটন। তবে এই রিপোর্টকে চূড়ান্ত সিলমোহর দিতে নারাজ বনমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”বনদপ্তরের রিপোর্ট তো চূড়ান্ত নয়। পুলিশ ও দমকল বিভাগ আলাদা আলাদা তদন্ত (Investigation) রিপোর্ট নবান্নে জমা দেবে। সেসব দেখে তবেই সঠিক কারণ নির্ণয় করা সম্ভব।” বনমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ”দিনরাত যে বনকর্মীরা এসব বন বাংলো আগলে রেখেছেন এতদিন ধরে, তাঁদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি। তবে আমরা বিশ্বাস করি যে কর্মীদের কোনও গাফিলতি নেই।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রদেশ কংগ্রেসের ভাঁড়ে মা ভবানী! রীতি ভেঙে উপনির্বাচনে লড়ার খরচ দিতে রাজি AICC]

জলদাপাড়ার এই ঐতিহ্যবাহী বাংলো আগুনের (Fire) গ্রাসে চলে যাওয়া নিয়ে নানা সমালোচনাও শুরু হয়েছে। বিষয়টিকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছে। শনিবার বনমন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় সঙ্গে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালও। এনিয়ে  তাঁর বক্তব্য, ”তদন্ত কোন পথে চলছে, কীভাবে এগোচ্ছে, তা নিয়ে তো বনমন্ত্রী সবই প্রকাশ করে বললেন। এনিয়ে রাজনীতি করা নিন্দনীয়। জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের ভিতরে এই বাংলো নিয়ে তদন্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া একাধিক নিয়মকানুন রয়েছে। সেসব মেনে কাজ চলছে।” 

[আরও পড়ুন: ‘প্রেম শেষ, আর চাই না…’, কেন এমন কথা বললেন মিথিলা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement