Advertisement
Advertisement
Purulia

পুরুলিয়ায় বনাঞ্চলে আগুনে বিপন্ন বন্যপ্রাণ, প্রবল জলসংকটে লোকলয়ে হরিণ

কী বলছে ববনদপ্তর?

Forest fire threatens wild life at Purulia
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 24, 2024 2:10 pm
  • Updated:April 24, 2024 3:54 pm  

অমিত সিং দেও, মানবাজার: একদিকে তীব্র গরমে প্রতিদিন নেমে পড়ছে জলস্তর। সূর্যের প্রখর তাপে শুকিয়ে পড়েছে পুরুলিয়ার (Purulia) বিভিন্ন প্রান্তের ছোট-বড় জলাশয়। আর এরেই মাঝে দোসর হয়েছে জঙ্গলে আগুন। ফলে জীবন বাঁচাতে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে হরিণের দল। পুরুলিয়া বন বিভাগের কোটশিলা বনাঞ্চলে দুটি কাঁকর হরিণ উদ্ধারের পর এমনই দাবি করেছেন স্থানীয় মানুষজন। পরে উদ্ধার হওয়া হরিণগুলি বন দপ্তরের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। আপাতত ওই দুটি হরিণকে পুরুলিয়ার শহরের উপকন্ঠে সুরুলিয়া মিনি চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছে। পুরুলিয়া ডিভিশনের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “এমনিতেই হরিণ একটু মানুষ ঘেঁষা স্বভাবের। তবে গরমে পানীয় জল বা কচি সবুজ খাবারের জন্য লোকালয়ে চলে আসতেই পারে। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে দুটি হরিণ উদ্ধারের পর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”

বনদপ্তরের তথ্য বলছে, দক্ষিণ পশ্চিম চক্রের পুরুলিয়া, কংসাবতী উত্তর এবং কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের মধ্যে বেশির ভাগ বনবিভাগের বনাঞ্চলেই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ শ্রেণির তালিকায় ৩-এ থাকা বার্কিং ডিয়ার বা কাঁকর হরিণ পাওয়া যায়। এছাড়া খুব সামান্য বনাঞ্চলে মেলে চিতল হরিণ। কাঁকর হরিণ উচ্চতায় ঠিক ছাগলের মতোই। এছাড়া এদের ছোট ছোট সিং হয়। বন দপ্তরের এক কর্তার কথায়, পুরুলিয়ার জঙ্গলে চিতল হরিণ খুব সামান্য এলাকায় দেখা মেলে। আসলে এই বন্যপ্রাণের যা শরীরের গঠন তাতে ওই সিং নিয়ে এই বনাঞ্চলে ছুটতে সমস্যা হয়। তবে কাঁকর হরিণ বেশ ভালো সংখ্যায় পুরুলিয়ায় পাওয়া যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কত টাকায় লড়েছিলেন জীবনের প্রথম মামলা? গোপন তথ্য ফাঁস প্রধান বিচারপতির]

স্থানীয় ও বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোটশিলার হরতন থেকে জাবর পর্যন্ত এই বিস্তীর্ণ জঙ্গলে প্রচুর কাঁকর হরিণ রয়েছে। তবে চলতি বছর জঙ্গলে পানীয় জল, সবুজ ঘাসের সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া জঙ্গলে আগুন লাগায় ভয় পেয়ে তারা এদিন সেদিক ছোটাছুটি করছে। যার ফলে রবিবার তহদ্রি গ্রামে এক চাষীর ছাগলের সঙ্গে পাহাড় থেকে গোয়াল ঘরে চলে আসে একটি ছোট্ট কাঁকর হরিণ। পরে ঘটনার খবর পেয়ে সেটিকে উদ্ধার করে সিমনি বিটের আধিকারিক ও কর্মীরা। বনদপ্তর জানিয়েছে, পুরুষ ওই হরিণটির বয়স আনুমানিক চার থেকে পাঁচ মাস। অন্যদিকে সোমবার কোটশিলার নোয়াহাতু বিটের বড়রোলা গ্রামের একটি মন্দিরে ঢুকে পড়ে পূর্ণবয়স্ক একটি মাদী হরিণ। পরে গ্রামের মানুষজন বনদপ্তরের খবর দিলে সংশ্লিষ্ট বিটের আধিকারিক ও বনকর্মীরা সেটিকে উদ্ধার করেন।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement