সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আগামী ১৪ জুলাই পালিত হবে বনমহোৎসব। এবছর কেন্দ্রীয়ভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদপ্তর। গাছ লাগানো যে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই বার্তা দিতে গান বাঁধলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার সাতজন শিল্পীর নিরলস পরিশ্রমে তৈরি হয়েছে গানটি৷ কেউ দিয়েছেন সুর তো কেউ গেয়েছেন গানের কলি৷
বনমহোৎসব মানেই স্নেহবন্ধনে গাছকে আপন করে নেওয়া। প্রতিবছর জুলাই মাসের প্রথম দিকে দেশজুড়ে বনমহোৎসব উদযাপন করা হয়। বনদপ্তরের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর এবছর আগামী ১৪ জুলাই ডায়মন্ড হারবারে বনমহোৎসব দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে শুধু ডায়মন্ড হারবারই নয়, রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি জায়গা যেমন শিলিগুড়ি, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুরের বনাঞ্চলগুলিতেও অনুষ্ঠিত হবে বনমহোৎসব। সেই অনুষ্ঠানের আগে বিষয়টি সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে গান বেঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লেখা ৪ মিনিটের এই গানটি গেয়েছেন বাংলার সাতজন শিল্পী। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই গানটির দ্বারাই জেলায় জেলায় বনমহোৎসবের প্রচার করা হবে।
প্রতিবছরই বনমহোৎসব উদযাপনের আগে সরকারের তরফে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়। জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয় নিজেদের বিধানসভা এলাকায় চারাগাছ রোপণ করার। চারাগাছ সংগ্রহ করার জন্য ডিএফওদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। চারাগাছগুলি পরিচর্যার ভারও থাকে তাঁদের উপরেই। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বনমহোৎসবের সময়ে ঘটা করে হাজার হাজার গাছ লাগানো হলেও উপযুক্ত পরিচর্যার অভাবে তা বাঁচে না। এছাড়াও গাছ লাগানো ও গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে জনবহুল এলাকায় ফ্লেক্স-ব্যানার, হোডিং ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়। এবছরও একইরকমভাবে অনুষ্ঠান উদযাপনের পাশপাশি একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.