সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: পর্যটন ব্যবসাকে আরও ঢেলে সাজাতে একাধিক পদক্ষেপের পর এবার বনচারিণী পক্ষীকূলের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে বন দপ্তর। বিশেষ করে গজলডোবার ‘ভোরের আলো’ পর্যটন প্রকল্প লাগোয়া বৈকুণ্ঠপুর বন এলাকায় বিভিন্ন ফলের গাছ লাগানো হচ্ছে। যাতে পর্যটকরা এসে পাখির ঝাঁক দেখে মন ভাল করতে পারেন। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর মতে, গজলডোবার ‘ভোরের আলো’ প্রকল্প যাতে সার্বিকভাবে ইকো ফ্রেন্ডলি পর্যটন প্রকল্পে রূপান্তরিত হতে পারে, তার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সামাজিক বনসৃজন বিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “পাখিরা যাতে এই এলাকায় বেশি করে ডেরা বাঁধে, তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। হাতি সাফারি, সাইকেল সাফারির মতো পর্যটকদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বন্যপ্রাণকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছি।” কী কী ফলের গাছ লাগানো হবে? অঞ্জনবাবু জানান, মূলত পেয়ারা, কুল, লিচু, আতা, লটকা, কদম, আম, জাম, পেঁপে গাছের মতো পরিচিত এবং পাখিদের খাবারের উপযোগী গাছ লাগানো হচ্ছে। সবগুলোতেই কয়েক বছরের মধ্যে ফল ধরবে। এছাড়াও বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকায় কদম ও কুল গাছ রয়েছে। এই গাছগুলো বড় হলে পরের দফায় আরও গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে বনদপ্তরের৷ এমনিতেই বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চলে শাল–সেগুন গাছের আধিক্য৷ তার মধ্যে ফলের গাছ বাড়তে থাকলে স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতেই পাখিরা ফলের লোভে ভিড় করবে।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে টিয়া, ময়না, চড়ুই, ঘুঘু, শালিক, ডাহুক, তিতির ছাড়াও ময়ূর, বাঁদরও রয়েছে প্রচুর। তবে খাবারের অভাব যাতে না হয় এবং জঙ্গলের মধ্যেই নিজেদের প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ করতে পারে সে জন্য নজর দেওয়া হচ্ছে দপ্তরের তরফে৷ সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের জন্য প্রায় দশ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.