ফাইল ছবি
রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: কাটা মাথা ও এক পা উদ্ধার পর এবার সঙ্কোশ নদীতে বোট নামিয়ে হাতির অন্যান্য দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি শুরু করল বনদপ্তর। ইতিমধ্যেই সঙ্কোশ নদীতে পাওয়া হাতির কাটা মুণ্ডু ও পিছনের একটি পা যে একই হাতির, তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত করেছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কে বা কারা, কেন হাতির দেহাংশ টুকরো টুকরো করে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিল সেই রহস্যের এখনও কিনারা করতে পারেনি অসম-বাংলা কোনও পক্ষই।
কোথায় এই হাতির মৃত্যু হয়েছিল সে বিষয়েও এখনও সম্পূর্ণ অন্ধকারে দুই রাজ্যের বনকর্তারা। তবে রহস্য উন্মোচন করতে এখন মূলত ‘গ্রামীণ গসিপকেই’ ভরসা করছেন তদন্তকারীরা বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বনকর্তা। তিনি বলেন, “এই ঘটনার প্রচার এত বেশি হয়ে গেছে যে সঙ্কোশ নদীর কাছে থাকা মানুষেরা এই ঘটনা নিয়ে একেবারে চুপ হয়ে গেছে। তবে হাতির দেহ কেটে না নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কাজ একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। কোন কোন মানুষের নজরে তা পরেছেই। গ্রামীন কথা বার্তাতেই তা উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সেই দিকেই নজর রেখেছি।”
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, “আমরা খুব গুরুত্ব দিয়েই এই ঘটনার তদন্ত করছি। সব সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই তদন্ত হচ্ছে। বনদপ্তর বসে নেই।” উল্লেখ্য, শুক্রবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভল্কা রেঞ্জের জঙ্গল লাগোয়া সঙ্কোশ নদী থেকে একটি পুরুষ হাতির কাটা মুণ্ডু উদ্ধার হয়েছে। তারপর সোমবার ফের ওই স্থানের অনতিদূরে ওই একই হাতির পেছনের একতি কাটা পা উদ্ধার করে বনদপ্তর। আর অসম-বাংলা সীমানা বরাবর বয়ে যাওয়া সঙ্কোশ নদী থেকে পর পর হাতির দুই দেহাংশ উদ্ধারের পর এবার সঙ্কোশ নদীতে কার্যত চিরুনি তল্লাসি শুরু করেছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কতৃপক্ষ। বুধবার নদীতে বোট নামিয়ে তল্লাসি শুরু করেছে বনদপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.