ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: রংটংয়ের জঙ্গলে বাঘের গর্জন ঘিরে আতঙ্ক! জঙ্গল লাগোয়া পথ ধরে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকেই বাঘের গর্জন শুনেছেন বলে দাবি। সত্যিই কি রংটংয়ের জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার? নজরদারি চালাতে বসল ক্যামেরা। এদিকে ডুয়ার্সের নাগরাকাটার দক্ষিণ রায়ডাক জঙ্গল থেকে মিলল বেশকিছু হাড়গোড়। প্রাথমিকভাবে অনুমান, হাড়গুলি সম্ভবত হাতির।
[গন্ডারের হামলায় ছিন্নভিন্ন বিট অফিসার, জলদাপাড়ায় ঘনাল রহস্য]
নেওড়ার জঙ্গলে আগেই বাঘের সন্ধান মিলেছে। মহানন্দা জঙ্গলেও ঘাটি গেড়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার? রীতিমতো ধন্দে পড়েছেন দার্জিলিং বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরা। গত কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন তাঁরা। স্থানীয় বনবস্তির বাসিন্দাদের দাবি, সুকনা থেকে কার্শিয়াং যাওয়ার পথে রংটংয়ের জঙ্গলে বাঘের গর্জন শুনতে পাচ্ছেন তাঁরা। প্রথমে বিষয়টি সেভাবে আমল না দিলেও, এখন রীতিমতো উদ্বিগ্ন দার্জিলিং বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরা। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ-সহ নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। জঙ্গলে নজরদারির জন্য বসানো হয়েছে দু’টি ক্যামেরাও। সুকনা বন্যপ্রাণ বিভাগের রেঞ্জার বারিন দুবে জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ৩৫-৪০জন বনকর্মী বিকেল চারটে থেকে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত রংটংয়ের জঙ্গল ও লাগোয়া এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন। দু’টি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে রংটংয়ের নিচে ককলংয়ে। তবে চিতাবাঘ, বাইসন এবং হাতির পায়ের ছাপ, মল মিললেও, এখনও পর্যন্ত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলেনি।
[জলদাপাড়ায় এবার কুনকি হাতির হামলায় জখম মাহুত, আতঙ্কে বনকর্মীরা]
চলতি বছরেরই মার্চ মাসের ঘটনা। তিস্তার পার থেকে ভেসে আসা বিকট চিৎকারে তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়েছিল জলপাইগুড়ি শহরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকালে ভয়ের তেমন কিছু ছিল না। কিন্তু, রাত নামলেই তিস্তার পার থেকে কখনও হুংকার, কখনও আবার দাঁত খিঁচুনির বিকট শব্দ শোনা যেত। আতঙ্কে কার্যত সিঁটিয়ে গিয়েছিল গোটা জলপাইগুড়ি শহর। সন্ধ্যের পর দরজা, জানলা বন্ধ করে ঘরে বসে থাকতেন অনেকেই। আর যাঁরা সাহস সঞ্চয় করে লাঠি হাতে চিৎকারের উৎস সন্ধানে বেরিয়ে পড়তেন, তাঁরা মারাত্বক জখম হয়ে ফিরতেন। একযোগে ঘটনার তদন্তে নেমেছিল পুলিশ ও বন দপ্তর।যদিও তিস্তা পারে কোনও আজব জন্তুর পায়ের ছাপ বা অন্য কোনও নমুনা পাওয়া যায়নি।
[মাঠে-ঘাটে পড়াশোনা করেই বিজ্ঞানী হতে চায় ‘শিলিগুড়ির বিদ্যাসাগর’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.