Advertisement
Advertisement

Breaking News

দুর্গাপুর NIT

হস্টেলে খোলা থাকলেও ক্যান্টিন বন্ধ, খাওয়াদাওয়া নিয়ে চিন্তায় NIT’র বিদেশি পড়ুয়ারা

খাবার সরবরাহে বিকল্প ব্যবস্থা আছে, আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।

Foreigner students of NIT,Durgapur are worried about food supply
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 15, 2020 7:11 pm
  • Updated:March 15, 2020 7:11 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সোমবার থেকে বন্ধ হচ্ছে দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (NIT) দরজা। বন্ধ ক্লাস, হস্টেল, ক্যান্টিনও। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। যার জেরে চরম বিপাকে এনআইটি’র বিদেশি পড়ুয়ারা। যদিও হোস্টেলে থাকার ক্ষেত্রে তাঁদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা এই যে ক্যান্টিনও বন্ধ থাকলে হস্টেলে থেকেও তো তাঁদের অভুক্ত থাকতে হবে। এই বিষয়টিই এখন মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গাপুর এনআইটি’র বিদেশি পড়ুয়াদের। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থারও আশ্বাস দিয়েছেন।

গত শুক্রবার ‘ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’ কর্তৃপক্ষ নোটিস জারি করে আগমী ৩১ মার্চ পর্যন্ত কলেজ বন্ধ থাকবে বলে জানায়। ততদিন বন্ধ থাকবে ক্যান্টিনও। এখানে প্রায় জনা ৫০ বিদেশি পড়ুয়া পড়াশোনা করেন। করোনার জেরে ভিসা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁরা বাড়িও ফিরতে পারবেন না। ফলে হস্টেলেই থাকতে হবে। মায়ানমার, নেপাল, মরিশাস ছাড়াও রয়েছেন বেশ কিছু বাংলাদেশি পড়ুয়া। কিন্তু ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় খাওয়াদাওয়া নিয়ে তারা বেশ বিপাকে পড়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মহামারির ধাক্কা এশিয়ার বৃহত্তম চর্মশিল্পে, হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে বানতলা]

বাংলাদেশের তৃতীয় বর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র প্রাঙ্গণ সেন বলছে, “বর্তমানে ভিসা বন্ধ। তারপরেও যদি বাড়ি যাই তবে ১৫ এপ্রিলের আগে ফিরতে পারব না। তাও দুই দেশের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই ফিরতে পারব। এতে পড়াশোনায় সমস্যা হবে। তাই হস্টেলেই থাকতে হবে। তবে খাবার ব্যবস্থা না থাকলে সমস্যায় পড়তেই হবে।”

NIT-Durgapur-student

এ দেশের পড়ুয়ারাও অনেকেই এখনই বাড়ি ফিরতে পারবেন না। বহু ছাত্র হোলির ছুটি কাটিয়ে এখনও কলেজে আসেননি। তাই ফের বাড়ি ফিরতে সময় লাগবে তাঁদের। এই অবস্থায় ক্যান্টিন বন্ধ থাকলে দেশি-বিদেশি সব পড়ুয়াকেই সমস্যায় পড়তে হবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থার কথাও ভেবে রেখেছে এনআইটি কর্তৃপক্ষ। এনআইটি’র রেজিস্ট্রার সৌম্য সেনশর্মা। তিনি জানান, “আমাদের গেস্ট হাউস থেকে খাবার সরবারহ করা হবে। পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি হলে অস্থায়ী কোনও ভেন্ডারের কাছ থেকে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া হোস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে আমাদের হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতিও হতে পারবেন পড়ুয়ারা।” আশ্বাস সত্ত্বেও কিছুতেই নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না তাঁরা।

[আরও পড়ুন: পেটের টানে জঙ্গলে প্রবেশই কাল, বাঘের হামলায় ফের প্রাণহানি মৎস্যজীবীর]

ছবি: উদয়ন গুহরায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement