ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: তিনি সদ্য প্রাক্তন হয়েছেন। এতদিন তাঁকে চপারে আসতে-যেতে দেখতে অভ্যস্ত ছিল কীর্ণাহারবাসী। এবার গাড়িতে। যান এবং পদমর্যাদায় বদল হলেও বাড়ির পুজো নিয়ে এখনও সমান আবেগ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। কীর্ণাহারের মিরিটির বাড়িতে নিষ্ঠা ভরে পুজো-পাঠ। পরিচিতদের সঙ্গে আড্ডা। সবই একইরকম।
[বিশ্বকর্মা পুজোর দিন প্রতিষ্ঠিত হয় বেহালার এই ‘জগত্তারিণী সোনার দুর্গা’]
পুজোর সময় শুধু রাতে দিদি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে থাকেন। বাকি সময় মিরিটির বাড়িতে পুজোর সঙ্গে একাত্ম হয়ে যান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। ষষ্ঠীর দিন এসেছেন। তারপর থেকে নিয়ম মাফিক সমস্ত কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েন। সপ্তমীতে ঘটধরার অনুষ্ঠানে ছিলেন। মহাষ্টমীর সকালে নিষ্ঠা ভরে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চণ্ডীপাঠ করেন মুখোপাধ্যায় বাড়ির পল্টু। জঙ্গিপুরের সাংসদ তথা প্রণববাবুর ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও রয়েছেন বাবার সঙ্গে। পরিজনদের সঙ্গে কথা, খাওয়া-দাওয়া। এভাবেই পুজো কাটছে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। এবারও তাঁর সফর ঘিরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি রয়েছে। মুখোপাধ্যায় বাড়িতে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ। বিসর্জনের পর তাঁর দিল্লি চলে যাওয়ার কথা। রাষ্ট্রপতির প্রোটোকল সরিয়ে এটাই প্রথমবার পুজো কাটাতে কীর্ণাহারে প্রণব মুখোপাধ্যায়।
[শহরের বনেদিয়ানায় আজও অটুট শোভাবাজার রাজবাড়ির এই পুজো]
পুজো বলে কথা, মিষ্টিমুখ হবে না। মিরিটির মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো অন্যতম আকর্ষণ নাড়ু। তৃতীয়া থেকে তৈরি হয়েছে নানা স্বাদের নাড়ু। যার মধ্যে গুড়ের নাড়ু রয়েছে দেড় কুইন্টাল। এর সঙ্গে ৫০ কেজি চিনির নাড়ুও রয়েছে। পাশাপাশি গুড়ের সঙ্গে খই নাড়ু, মুড়ি নাড়ু, চিড়ে নাড়ু, সিরির নাড়ু এবং ছোলা বাদামের নাড়ুও প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে। খই-গুড় মাখিয়ে তৈরি হয়েছে মুড়কি, যা প্রণববাবুর খুব পছন্দের। বাড়ির পুজো হলেও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পুজো এভাবেও হয়ে উঠেছে সর্বজনের।
ছবি: রাজা ভকত
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.