বিপ্লব চন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: প্রায় আট দিন ধরে সন্ধ্যে নামতেই অন্ধকারের মধ্যে থেকে ভেসে আসছে বিকট আওয়াজ। যে আওয়াজ শুনে গ্রামবাসীদের সকলেরই ধারণা, হিংস্র কোন জন্তুর আওয়াজ হতে পারে। যদিও এর আগে বনদপ্তরের লোকজন দু’দফায় ফুলিয়ার ওই এলাকায় ঘুরে গিয়েছেন। কিন্তু কোন জন্তুর দেখা পাননি। খুঁজে পাননি কোন জন্তুর পায়ের ছাপও। তবে সোমবার সন্ধ্যায় বনদপ্তরের লোকজন তৃতীয় দফায় এসে দেখতে পেলেন বড় আকারের বেশ কয়েকটি পায়ের ছাপ। তাতে তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত, সেগুলি কোন হিংস্র জন্তুর পায়ের ছাপই হবে। তবে সেটা কী ধরনের জন্তু, তা তাঁরা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
গত প্রায় আট দিন ধরে ফুলিয়ার চটকাতলা গ্রামের মানুষ রাতের অন্ধকারে শুনতে পাচ্ছিলেন বিকট আওয়াজ। যে আওয়াজ শুনে বাড়ির কচিকাঁচারা তো বটেই, আতঙ্কিত বড়রাও। যদিও কীসের আওয়াজ ভেসে আসছে, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় কারও কাছেই। প্রাথমিকভাবে অজানা জন্তুর আওয়াজ বলেই মনে করছেন তাঁরা। অজানা ওই জন্তুর হদিশ পেতে এলাকার লোকজন দলবদ্ধভাবে রাতে লাঠি ও টর্চের আলো নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। কোথাও জ্বালিয়ে রাখছেন আগুন।
সোমবার সন্ধ্যায় নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়ার চটকাতলা গ্রামে পরিদর্শনে এসেছিলেন নিরঞ্জন দাস নামে বনদপ্তরের একজন বিট অফিসার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন একজন বনরক্ষী ও একজন বন শ্রমিক। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁরা ওই গ্রামে পরিদর্শন করে গোলাকার বড় আকারের কয়েকটি পায়ের ছাপ দেখতে পান। তাঁদের ধারণা, সেই হিংস্র জন্তু গাছেও উঠতে পারে। এর আগে বনকর্মীরা অনুমান করে বলেছিলেন, “সম্ভবত কোনও ভাম বিড়ালের পায়ের ছাপ এটি। একাকিত্বের কারণে সন্ধ্যে নামতেই ওইভাবে ডাকছে সে।” কিন্তু এদিন নিরঞ্জন দাস বলেন, “এর আগে আমরা দু’দফায় পরিদর্শনে এসে কোন জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পাইনি। খুঁজে পাইনি কোন জন্তুকে। তবে এবার বেশ কয়েকটি পায়ের ছাপ আমরা দেখতে পেলাম। যা দেখে আমাদের অনুমান, কোনও হিংস্র জন্তুর পায়ের ছাপ ওগুলি। কিন্তু সেটা কী ধরনের জন্তু, তা এখনই আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি না। বিষয়টি আমরা আমাদের দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.