অরূপ বসাক, মালবাজার: কোনও কিছু দ্বারা প্রভাবিত হবেন না৷ নির্ভয়ে নিজের ভোটাধিকার নিজে প্রদান করুন৷ নির্বাচন কমিশন, জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে বারবার ভোটার সচেতন করতে লাগাতার প্রচার চালানো হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার, ভোট শুরু হতেই দেখা গেল, কিছুটা হলেও প্রচারে সাড়া মিলেছে৷ সকাল সকাল ভোটের লাইনে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষজন৷ আর ইভিএমের বোতাম টিপে, আঙুলে কালি লাগানোর পর বেরোতেই তাঁদের মুখের কাছে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে খাবার৷
কোথাও মুড়ি-বোঁদে, কোথাও আবার মুড়ি-গুড়। সঙ্গে রয়েছে পান, সুপারিও। ভোট দেওয়ার পর প্রাতঃরাশও ভোট কেন্দ্রে সেরে নিলেন ভোটাররা৷ সকালের খাবার হিসেবে এসবই দেওয়া হচ্ছে তাঁদের৷ এদিন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের মালবাজারের মেটেলি ব্লকের বেশ কয়েকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দেখা গেল এই ছবি। তবে এতে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই বলেই দাবি সব রাজনৈতিক দলের৷ তাঁরা বলছেন, রাজনৈতিক রং দেখে নয়, ভোটদানের পর সব ভোটারকেই প্যাকেটে করে খাবার দেওয়া হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার পর যাতে ভোটারদের বেশিক্ষণ অভুক্ত থাকতে না হয়, তাই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে৷ ভোটকেন্দ্রে খাবারের প্যাকেট পেয়ে অবশ্য খুশি ভোটাররা। ভোটের দিন মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ি, ধূপঝোরা, বিধাননগর-সহ একাধিক এলাকায় দেখা গেল এই চিত্র। তৃণমূল, বিজেপির কর্মীরা তাঁদের নির্বাচনী বুথের পাশেই রেখেছেন এসব খাবার জিনিস। ভোটাররা ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাদের হাতে প্যাকেটে দেওয়া হচ্ছে ওই সমস্ত প্যাকেট।
এক রাজনৈতিক কর্মী বলেন, ‘ভোটাররা যাতে ভোট দিয়ে খালি হাতে বাড়ি না ফেরে তার জন্যই এই উদ্যোগ। মুড়ি, পান-সুপারি, চা, জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে সবার জন্য। ভোটারদের এসব দেওয়া হচ্ছে৷’ এক ভোটার বলেন, ‘ভোটের পর মুড়ি পেয়েছি। এতে আমরা খুশি। সকালের খাবারের চিন্তা আর রইল না৷’ এভাবে গণতন্ত্রের উৎসবে সাধারণ মানুষকে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য খাবার বিতরণ মন্দ কি?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.