জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় প্রতিহিংসা পরায়ণতার জেরে অন্তঃসত্ত্বার উপর হামলার অভিযোগ। অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি মেরে তাঁর ভ্রূণ নষ্টের অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের ট্যাংরা এলাকার ঘটনায় আজ নিগৃহীতাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে এলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। ধৃতরা তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকার ফলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর।
সূত্রের খবর, আক্রান্ত মহিলা সোনালি গাজি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর বাড়ি হাসনাবাদ থানা এলাকার ট্যাংরা গ্রামে। সম্প্রতি গাজি দম্পতি সাদ্দাম ও সোনালি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন৷ মঙ্গলবার বিকালে গ্রামের ৫৯ নম্বর বুথে বিজেপির বুথ মিটিং ছিল। মিটিং সেরে ওই দম্পতি বাড়ি ফিরলে রাতের অন্ধকারে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ৷ তাতে পরিবারের তিনজন জখম হয়। আরও অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা সোনালির পেটে লাথি মারে৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোনালিকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ চিকিৎসক জানায়, ভ্রূন নষ্ট হয়েছে তাঁর। ঘটনার কথা জানিয়ে হাসনাবাদ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে দম্পতি।
ঘটনার পর তিনদিন কেটে গেলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে শুক্রবার সকালে বিজেপি রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি। বিক্ষোভে শামিল হয় আহত ওই দম্পতি। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। আহত দম্পতিকে সঙ্গে নিয়ে কথা বলেন হাসনাবাদ থানার আধিকারিক শুভ্র স্যান্যালের সঙ্গে। তিনিও অভিযোগ করেন, সোনালি ও সাদ্দাম গাজি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের মারধর করেছে৷ মারধরের কারণেই সোনালির গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়েছে। রবিবারের মধ্যে দোষীরা গ্রেপ্তার না হলে, বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা নারায়ন গোস্বামী বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই৷ পারিবারিক বিবাদকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে, দোষ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.