Advertisement
Advertisement

ফ্লোরাইডের দূষণ ছড়াচ্ছে, উদ্বেগে রাজ্য

“কোথাও নোনা জল, কোথাও আর্সেনিক, কোনও এলাকায় ফ্লোরাইডের সমস্যা আমাদের ভোগাচ্ছে৷ তবে সবকিছু ছাড়িয়ে যাবে ভূগর্ভস্থ জলে ফ্লোরাইডের দূষণ৷”

Fluoride in Water, West Bengal is in Danger
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 29, 2016 12:13 pm
  • Updated:June 29, 2016 12:13 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: ভূগর্ভস্থ জলে ফ্লোরাইডের দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য৷ বিষয়টি দ্রুত গুরুত্ব দিয়ে দেখা না হলে আর্সেনিকের চেয়েও ভয়াবহ আকার নেবে৷ এই পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র৷
মঙ্গলবার বিধানসভায় মন্ত্রী জানান, সৌরশক্তিকে সেচের কাজে লাগাতে উদ্যোগী রাজ্য৷ প্রশ্নোত্তরপর্বে মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের খরাপ্রবণ বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সেচের জন্য বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ স্প্রিংলার ও ড্রিপ ইরিগেশন ব্যবস্থা কার্যকর হবে৷ কাজে লাগানো হবে সৌরশক্তিকে৷ সরকার অচিরাচরিত শক্তির উপর জোর দিয়েছে৷ তাই এই উদ্যোগ৷”
এদিন কংগ্রেসের বিধায়ক অসিত মিত্রর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সৌমেনবাবু জানান, “রাজ্যে সেচসেবিত এলাকার পরিমাপ বেড়েছে৷ রিভার লিফট ইরিগেশনে (আরএলআই) জোর দেওয়া হচ্ছে৷ এবং জলের অপচয় কমাতে নেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু ব্যবস্থা৷ চা বাগিচায় যেমন ফোয়ারার মতো জল সেচ করা হয় তেমন দক্ষিণবঙ্গে অন্যান্য কৃষিক্ষেত্রে একই পদ্ধতির ব্যবহার করা হবে৷ এতে অযথা সেচের জন্য বাড়তি জলের ব্যবহার কমানো যাবে৷”
আটটি জেলায় ভূগর্ভস্থ জলের সমস্যা রয়েছে৷ আর্সেনিকের মতোই ফ্লোরাইডের দূষণ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে মনে করেন মন্ত্রী৷ বিধানসভার বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁর স্বীকারোক্তি, “কোথাও নোনা জল, কোথাও আর্সেনিক, কোনও এলাকায় ফ্লোরাইডের সমস্যা আমাদের ভোগাচ্ছে৷ তবে সবকিছু ছাড়িয়ে যাবে ভূগর্ভস্থ জলে ফ্লোরাইডের দূষণ৷”
উল্লেখ্য বীরভূমে প্রথম এই সমস্যা ধরা পড়েছিল বাম সরকারের আমলে৷ তখন নন্দগোপাল ভট্টাচার্য ছিলেন এই দফতরের মন্ত্রী৷ সমীক্ষা রিপোর্ট পেয়ে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করলেও তা কার্যকর হয়নি৷ ফলে ধীরে ধীরে সংকট তীব্র হয়েছে৷ এমনিতেই বেপরোয়াভাবে মাটির তলা থেকে জল তোলায় স্তর নেমেছে বহু স্থানে৷ কয়েকটি ব্লকের অবস্থা বিপজ্জনক বলে জানিয়ে দিয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া৷
বিধায়ক প্রতিমা রজক, অপূর্ব সরকারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সৌমেনবাবু বিধানসভায় বলেছেন, “কান্দিকে জিওলজিক্যাল সার্ভে কিন্তু ডেথ জোন বলেনি৷ জলস্তর নেমেছে এটা ঠিক৷ তাই ওখানে মাটির তলা থেকে জল তোলা যাবে না৷ আমরা তো আরএলআই প্রকল্পে জোর দিয়েছি৷ দেখতে হবে সব পাম্প চালু কি না৷ আসলে কৃষকদের হাতে প্রকল্প তুলে দিলে তা দেখভালের দায় তাঁদের৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয় না৷ সেদিকেও নজর দিতে হবে৷ তবে সবমিলিয়ে রাজ্যে সেচসেবিত এলাকা অনেক বেড়েছে৷”
মন্ত্রী জানিয়েছেন, সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার সেচের কাজে বেশি করে ব্যবহার হবে৷ এজন্য ৫০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে৷ পুরোটাই রাজ্যের টাকা৷ কেন্দ্র এই খাতে কোনও বরাদ্দ দেয়নি৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement