অরূপ বসাক, মালবাজার: গরমের প্রবল দাবদাহে যখন পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ, তখন বন্যা পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে। প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত বিন্নাগুড়ি ও বানারহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলবন্দি ১০০টি পরিবার। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে জাতীয় সড়কের কালভার্টের একাংশ। প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বর্ষার আগেই অকালবর্ষণ ভুটান পাহাড় অঞ্চলে। আর তাতেই ভেসে গিয়েছে ডুয়ার্সের বিন্নাগুড়ি ও বানারহাট শহরের বিস্তীর্ণ অংশ। বৃষ্টির জলে ভরে গিয়েছে শহরের প্রধান নিকাশী নালা। এই নালাটি স্থানীয়দের কাছে হাতিনালা নামে পরিচিত। জলের তলায় বানারহাটের ইউবিআই রোড, শান্তিপাড়া, হাসপাতাল পাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকা। একই পরিস্থিতি বিন্নাগুড়িতেও। এমএম কলোনিতে জলবন্দি ১০০টি পরিবার। রেললাইনের ধারে ও জাতীয় সড়কের পাশে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। জলের তোড়ে জাতীয় সড়কে কালভার্টে ভেঙে যাওয়ায় বিন্নাগুড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বানারহাট।
এদিকে প্রশাসনের ভূমিকা ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বিন্নাগুড়ি ও বানারহাটে। দিন কয়েক আগেও হাতিনালায় জল আটকে ভেসে গিয়েছিল বিন্নাগুড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, কিছুক্ষণের বৃষ্টিতেই যদি এই পরিস্থিতি হয়, তাহলে বর্ষা এলে কী হবে? এদিকে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিন্নাগুড়ি ও বানারহাটে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শহর থেকে দ্রুত জল বের করে দেওয়ার জন্য জাতীয় সড়কের একাংশ কেটে ফেলা হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার আশিস ধর জানিয়েছেন, ‘বিন্নাগুড়ি সংলগ্ন ৩১সি জাতীয় সড়ক থেকে হাতিনালার জল যাওয়ার জন্য কালভার্ট তৈরি হচ্ছে। আমরা ওই কালভার্টটির পাশ দিয়ে জল বের করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি এবং জাতীয় সড়ক কেটে জল বের করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.