Advertisement
Advertisement
Flood

টানা বৃষ্টিতে জলবন্দি জনতাকে সাহায্য, জেলশাসক-মন্ত্রীদের বিশেষ নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই নিজ নিজ এলাকা পরিদর্শনে দেব, বেচারাম মান্না। পরিস্থিতি নজরে রাখছেন মহকুমা শাসকরাও।

Flood situation: CM Mamata Banerjee orders DM and ministers to look after the situation
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 16, 2024 8:35 pm
  • Updated:September 16, 2024 8:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: নিম্নচাপের জেরে টানা তিনদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে। আর অসময়ের বৃষ্টিতে জলমগ্ন বহু এলাকা। নিচু এলাকাগুলি রীতিমতো প্লাবিত। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জলবন্দি কয়েকশো মানুষ। পুজোর আগে এই দুর্যোগে নিজের নিজের এলাকার পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে দুর্গত মানুষজনকে সাহায্য করতে হবে, জেলাশাসক ও মন্ত্রীদের এই মর্মে বিশেষ নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর নির্দেশ পেয়েই জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে নেমেছেন তাঁরা। পাশাপাশি দলের নেতারাও দাঁড়িয়েছে বিপদগ্রস্ত মানুষজনের পাশে। ঘাটালে গেলেন দেব, আরামবাগের প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখলেন বেচারাম মান্না। এছাড়াও নিজেদের ব্লকে ব্লকে পরিস্থিতি নজরে রাখছেন দলের নেতারা। ত্রাণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা সকলে।

খানাকুলের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। ছবি: সুব্রত যশ।

আরামবাগের খানাকুলের কিশোরপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দিপুর এলাকা। টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এখানকার বসন্তবাটি, সীমন্তপুর, বন্দিপুর-সহ একাধিক গ্রাম। অন্যদিকে, গোঘাট থানার মেদিনীপুর আরামবাগ ৭ নম্বর জাতীয় সড়ক জলমগ্ন হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আরামবাগ বদনগঞ্জ রাস্তার সাতবেরিয়া আমোদর খালে জলে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এই সমস্ত এলাকা পরিদর্শনে সোমবার গেলেন স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। এছাড়া আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারীও এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। ত্রাণ শিবির নিয়ে তিনি জানান, নিচু এলাকার মানুষদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে এসে তোলা হয়েছে। রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।

Advertisement
খানাকুলের বন্দিপুর এলাকায় দারকেশ্বর নদের বাঁধ ভাঙল। ছবি: সুব্রত যশ।

এনিয়ে আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিণী ই জানান, ”অতি বৃষ্টির কারণে দ্বারকেশ্বর দামোদর এবং মুণ্ডেশ্বরী নদীগুলিতে জলস্ফীতি ঘটেছে। এখানে যে খাল-বিল-নদী-নালা রয়েছে, সেগুলোতে জল উপচে পড়েছে। সব জায়গায় ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং বিপজ্জনক জায়গায় যে সব মানুষ বসবাস করেন তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসা হচ্ছে। অনেক মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। জল নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমরা সেগুলি তদন্ত করে দেখব।”

এদিকে, সোমবার বিকেলে ঘাটালের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যান সাংসদ দেব। তাঁর কথায়, “আমার ঘাটাল জলে ভাসছে। মানুষ কষ্টের মধ্যে আছেন। কত মানুষের ঘর ভেঙে যাচ্ছে। দুর্যোগের সময়ে মানুষ যাতে পরিষেবা ঠিকঠাক পান সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” তবে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দুর্যোগ আপাতত কেটেছে। সোমবারের পর থেকে বৃষ্টি কমবে। ফিরবে স্বস্তি।

ঘাটালের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে দেব। ছবি: সংগৃহীত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement