গৌতম ব্রহ্ম ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলা-সহ ঝাড়খণ্ডে অবিরাম বৃষ্টির জের। ক্রমশ জলধারণের ক্ষমতা কমছে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারের। তার ফলে জল ছাড়ল ডিভিসি। পুজোর মুখে বাংলার চার জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা।
মাইথনের জলধারণের ক্ষমতা ৪৯০ ফুট। বর্তমানে জল রয়েছে ৪৮৮.৮০ ফুট। পাঞ্চতের জলধারণ ক্ষমতা ৪২৫ ফুট। জল রয়েছে ৪১৫.৪৮ ফুট। তার ফলে ডিভিসি জল ছাড়তে শুরু করেছে। ডিভিসি (DVC) ৭০ হাজার ৭০০ কিউসেক জল ছেড়েছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে জল ছাড়ার পরিমাণ। দামোদর হেড ওয়ার্ক এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার বলেন, “মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে মোট দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়বে ডিভিসি।” তার ফলে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার একাংশে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেড় লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হলে ওই চার জেলায় লাল সতর্কতা জারি করার কথা।
ডিভিসি জল ছাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই পুজোর মুখে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূমের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। ওই বৈঠকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। বৈঠকের পর একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, এখনই বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই দক্ষিণবঙ্গবাসীর। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। হাওয়া অফিসের অশনি সংকেতে দুশ্চিন্তা বাড়ছে সকলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.