সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ঝুপঝাপ নেমে টুপটাপ তুলে নিচ্ছে মুরগি ছানা। আর তাই দেখে চোখ ছানাবড়া গ্রামের সবার। এও আবার হয় নাকি। এর আগে ঘরে ঢুকে চাল, আটা, সবজি সাবাড় করছিল। তাও সহ্য করছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু এবার গ্রামবাসীদের মুরগিছানা খাওয়া শুরু করেছে। মুরগি ছানার ঘাড় মটকে উদরপূর্তি? বানরকে মাংস খেতে দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।
এতদিন তাঁরা বনের এই জন্তুর সব আবাদার সহ্য করে আসছিলেন। কিন্তু বানরকে মাংস ভক্ষণ করতে দেখে সাবারই চক্ষু চড়কগাছ অবস্থা। বাধ্য হয়ে তারা দ্রুত বনদপ্তরকে খবর দেওয়া হয়। পরিস্থিতি গুরুতর বুঝে, দ্রুত পদক্ষেপ করে বনদপ্তরও। তারা খাঁচাবন্দি করল মাংস খেকো বানরটিকে। এই ঘটনা ঘটেছে বেলপাহাড়ি থানার ভুলাভেদা রেঞ্জের ভুলাভেদা এলাকায়। গত সপ্তাহ ধরে এলাকার একটি বানর গাছ থেকে নেমে গ্রামের মুরুগির বাচ্চা ধরে খাওয়া শুরু করে। এর আগে কখনও কোন বানরকে মাংস খেতে দেখা যায়নি গ্রামে। আর এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, গ্রামের ছোটদের নিয়ে। যদি তাদের উপরও আক্রমণ করে ওই মাংস খেকো বানরটি। তারা বনদপ্তরের দ্বারস্থ হয় এবং দাবি করে অবিলম্বে বানরটিকে ধরার ব্যবস্থা করার জন্য।
সরস্বতী পুজার আগেরদিন অর্থাৎ রবিবার স্থানীয় ভুলাভেদা রেঞ্জের বিট অফিসার সুরেন্দ্র নাথ মুর্মু এবং বন কর্মীরা খাঁচা নিয়ে তার ভিতরে টোপ দিয়ে বানরটিকে ধরেন। খাঁচার ভিতরে ভাত, আটার রুটি রেখে বানরটিকে তাড়িয়ে খাঁচাবন্দি করা হয়।এরপর ওই মাংস খেকো বানরটিকে সোমবার ঝাড়গ্রামে জুলজিক্যাল পার্কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে ভুলাভেদার বিট অফিসার সুরেন্দ্রনাথ মুর্মু বলেন “ আগে কখনও দেখিনি বানর কখনও মাংস খাচ্ছে। প্রায় সাত দিন ধরে ভুলাভেদা গ্রামে একটি বানর গ্রামের মুরগি বাচ্চা ধরে খাচ্ছিল। গ্রামবাসীরা দাবি করেন বানরটি ধরার জন্য। আমরা খাঁচা দিয়ে বানরটিকে ধরে ঝাড়গ্রামের চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দিয়েছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.