Advertisement
Advertisement

Breaking News

Maoists Attack

মাওবাদী হামলার আশঙ্কা, বাড়তি নিরাপত্তা চাইলেন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের ৫ তৃণমূল নেতা

নিরাপত্তা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।

Five TMC Leaders of Bankura Jangalmahal Seek Extra Protection From Police, Predict Maoist Attack | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 19, 2022 4:16 pm
  • Updated:April 19, 2022 5:00 pm  

দেবব্রত দাস, খাতড়া: জঙ্গলমহলে মাওবাদী (Maoists) সক্রিয়তা ফের বাড়ছে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে মাওবাদীদের ডাকা বন্‌ধ বেশ সফল হয়েছে বলেই দাবি। গোয়েন্দাদের তরফেও রাজ্যের জঙ্গলমহল (Junglemahal) ঘেরা চার জেলায় বাড়তি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে আগামী ২ সপ্তাহের জন্য। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে বাঁকুড়া (Bankura) জঙ্গলমহলের পাঁচ তৃণমূল নেতা জেলা পুলিশের কাছে বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানালেন। যদিও জেলা নেতৃত্বের একাংশ এই বিষয়ে কিছু জানে না বলে দায় এড়িয়েছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এই সম্পর্কে।

সূত্রের খবর, রানিবাঁধ ও রায়পুরের (Raipur) ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের পাঁচ তৃণমূল নেতা বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন রানিবাঁধের ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতো, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি লীনা মণ্ডল, রায়পুরের জগবন্ধু মাহাতো, সুলেখা মাহাতো, রায়পুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রাজকুমার সিংহ। এঁদের মধ্যে কয়েকজনের দেহরক্ষী রয়েছে। তবু মাওবাদী হামলার আশঙ্কায় কাঁটা তাঁরা। আর সেই কারণেই আরও নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন এই পাঁচ নেতা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে মিথ্যে বলে দিঘার হোটেলে প্রেমিকার সঙ্গে রাত কাটানোর ছক, এ কী হল যুবকের?]

রানিবাঁধের (Ranibadh) ব্লক তৃণমূল সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতো জানিয়েছেন, একজন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী রয়েছেন তাঁর। আরও একজন নিরাপত্তারক্ষী চান তিনি। এই মর্মে জেলা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। লীনা মণ্ডলের কোনও ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নেই। সুলেখা মাহাতো জানিয়েছেন, ”আমার ২ জন নিরাপত্তারক্ষী আছে। এবার আমি হাউসগার্ড চেয়েছি।” রায়পুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি রাজকুমার সিংহ যদিও এই দফায় নিরাপত্তারক্ষীর দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর মতে, ”আমার একজন দেহরক্ষী ছিল। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। সেই সময় থেকেই আমি জেলা পুলিশের কাছে তা ফের মোতায়েন করার আবেদন করেছিলাম।”

[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক ভরাডুবি হয়েছে তাঁর ভুলেই, প্রথমবার ‘দোষ’ স্বীকার গোতাবায়া রাজাপক্ষের]

প্রসঙ্গত, মাও নাশকতা নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই গত রবিবার জঙ্গলমহলের তিন জেলা – ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় ঘুরে জেলা পুলিশ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন। ফলে এমনিতেই জঙ্গলমহল লাগোয়া জেলাগুলিতে এই মুহূর্তে তুঙ্গে পুলিশি প্রহরা। তারই মাঝে ৫ তৃণমূল নেতার আলাদাভাবে নিরাপত্তা চাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগ বাড়াল আরও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement