অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: আমফানের (Amphan) ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দিনকয়েক ধরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল নেতারা ত্রাণ দেওয়া নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছেন বলেই অভিযোগ। কোনওভাবে আমফানের ত্রাণ নিয়ে যে ‘দুর্নীতি’ সহ্য করা হবে না তা আগেই জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দলনেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দলের অন্দরে চলছে ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ। এবার আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ ওঠায় হাওড়ার ৫ নেতাকে শোকজ করল তৃণমূল।
মঙ্গলবার রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরূপ রায় পাঁচ নেতাকে শোকজ করার কথা জানান। তাঁরা হলেন, ডোমজুড়ের মাকড়দহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কাজল সর্দার, উত্তর ঝাপরদহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ পাত্র এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষাল, জগৎবল্লভপুরের পাঁতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু, সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ। এঁদের প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধে আমফানের ত্রাণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দলীয় তদন্তের পরই তাঁদের শোকজের নোটিস ধরানো হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে হবে ওই পাঁচ নেতাকে। তাঁদের উত্তর খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুধু হাওড়া নয় সম্প্রতি জলপাইগুড়ি এবং হুগলিতে আমফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। তবে তা সত্ত্বেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের পারদ ক্রমশ চড়ছে। পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ যেন লেগেই রয়েছে। যদিও ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায় বলেন, ‘‘বর্তমান রাজ্য সরকার কোনভাবেই দুর্নীতিকে বরদাস্ত করবে না। যাদের অনৈতিকভাবে টাকা দেওয়া হয়েছে তা ফেরত নেওয়া হবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদেরই টাকা দেওয়া হবে।’’ যদিও তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। এর আগে ওঠা রেশন ‘দুর্নীতি’র প্রসঙ্গও টেনে আনছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। দলীয় নেতাদের শোকজ, বহিষ্কার করা সবই ‘লোক দেখানো’ বলেই পালটা আক্রমণ করেন বিরোধীরা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.