ছবি: প্রতীকী।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এ যেন চোরের উপর বাটপাড়ি। চুরির সোনা (Gold) হাতাতে যুবকের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে। তবে খবর পেয়ে পুলিশ সমস্ত ছক বানচাল করে দেয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ জনকে। তারা সকলে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বীরভূমের (Birbhum)নলহাটি থানা এলাকার এই ঘটনায় শুক্রবার ধৃতদের তোলা হবে আদালতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুজরাটের (Gujrat) রাজকোটে সোনার কাজ করতে গিয়ে ৯০০ গ্রাম সোনা হাতিয়ে নিয়ে আসে নলহাটির দুই যুবক। এদের মধ্যে একজন শেখ রনি, তার বাড়ি ভুজুং গ্রামে। আরেকজন শেরপুর গ্রামের শেখ রাকেশ। রাজকোটের সেই সংস্থা তা বুঝতে পেরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে শেখ রনি স্বীকার করে যে তাঁরা সোনা নিয়ে এসেছে। তা ফেরত পাঠিয়ে দেবে। রনির দাবি, এরপর সেই সোনা রামপুরহাটের এক উকিলের মাধ্যমে রাজকোটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি।
এরপর বৃহস্পতিবার আচমকা ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। এদিন দুপুর নাগাদ মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে জনা পাঁচেক লোক আচমকা হাজির হয় ভুজুং গ্রামে, শেখ রনির বাড়িতে। রনির কাছে তাঁরা দাবি করতে থাকেন, রাজকোট থেকে যে সোনা এনেছেন, তা তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে। রনি জানান যে তিনি সেই সোনা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন। তা বিশ্বাস করতে চাননি ওই ৫ জন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কিছুটা বাকবিতণ্ডা হওয়ার পর তাঁরা শেরপুরে শেখ রাকেশের বাড়ি যেতে চান। রনিকে গাড়িতে তুলে নিয়ে শেরপুরের দিকে রওনা হয়। অভিযোগ, গাড়ির মধ্যেই রনির কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে সোনা আদায়ের জন্য চাপ দেয় ওই ৫ জন। হুমকি দেয়, সোনার খোঁজ না পেলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে।
রনি চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। ১৪ নং জাতীয় সড়কে বীরভূম-মুর্শিদাবাদের সংযোগস্থলে কাঁটাগড়িয়া মোড়ের কাছে পুলিশের নজরে আসে বিষয়টি। স্থানীয়রাও অভিযোগ জানান, একটি গাড়িতে একজন যুবককে অপহরণের (Kidnap) চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপরই পুলিশ সক্রিয় হয়ে গাড়িটি আটকায়। গ্রেপ্তার করা হয় ৫ জনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনার কিনারা করতে চাইছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.