নন্দন দত্ত, সিউড়ি: হাতির গায়ে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বকর্মার (Biswakarma) চেনা ঠাকুরের ছবিটা পালটে দিল সিউড়ির দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। এবারে তাদের ঠাকুর পাঁচ মাথার বিশ্বকর্মা। যার দশটি হাত। সঙ্গে বাহন হাঁস। তার একপাশে শুঁড় উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে হাতি। এবার এমনই রূপে বিশ্বকর্মা পূজিত হচ্ছেন সিউড়ির দমকল দপ্তরে। না কোনও থিমের জন্য এই বদল নয়। জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে বিশ্বকর্মাকেই আরাধনা করা হচ্ছে সেখানে।
এ রুপে সচরাচর বিশ্বকর্মাকে দেখা যায় না। তবে বিশ্বকর্মার নানা রূপে এই রূপেরও বর্ণনা আছে। দমকল কর্তারা জানান, এই বিশ্বকর্মা ব্রহ্ম স্বরূপ। যার পাঁচ মুখ। প্রতিটি মুখের নানা নাম। মুখের নানা বর্ণনাও রয়েছে। বিশ্বকর্মার মুখগুলি হল সদ্যোজাত, বামদেব, অঘোর, ততপুরুষ, ও ঈশান। যে পাঁচটি মুখ থেকে জন্ম হয়েছে তা পাঁচ শিল্পীর। যারা ময়, মনু, তষ্ট্রা, শিল্পী ও দৈবজ। তাঁদের সঙ্গে বাহন হাঁস জ্ঞানের প্রতীক।
বিশ্বকর্মা এখানে জ্ঞানের প্রতীক। তাই বিশ্বকর্মার নতুন ব্রহ্মা ও বিশ্বকর্মা একসঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে দমকল কর্তারা বলছেন, “আমরা তো কিছুটা কার্তিক ঠাকুরের আদলে চার হাতের ঠাকুর হাতিতে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দেখতে অভ্যস্থ। স্বামী নির্মলানন্দের বই থেকে বিশ্বকর্মার বর্ণনায় চার হাতের বিশ্বকর্মার এক হাতে হাতুড়ি, ছেনি, কখনও মানদন্ড সব কিছু নির্মাণ তথা শিল্পের প্রতীক।”
পাঁচমুখের বিশ্বকর্মা সিউড়ি সংলগ্ন কড়িধ্যা গ্রামের রামরতন শর্মার বাড়িতে পুজো হয়। বাংলার ১৩৫১ সাল থেকে পুজো হয়ে আসছে। যার উত্তরসূরি হিসেবে শিল্পী শ্যামল শর্মা এই মূর্তির কারিগর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.