Advertisement
Advertisement
বজ্রপাত

আচমকা ঝড়-বৃষ্টিতে মালদহে বাজ পড়ে মৃত্যু ৫ জনের

বুধবার বিকেল থেকে জেলাজুড়ে বজ্র‌বিদ্যুৎ-‌সহ বৃষ্টি শুরু হয়।

Five died and ten injured for lightning in Malda today

ছবি: প্রতীকী

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 26, 2019 8:53 pm
  • Updated:June 26, 2019 9:12 pm  

বাবুল হক, মালদহ: মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়-বৃষ্টিতে বুধবার বিকেলে মালদহের পৃথক দু’টি এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হল পাঁচ জনের। বাজ পড়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। চিকিৎসার জন্য তাঁদের মালদহ মেডিক‍্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

পৃথক তিনটি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে গাজোল এবং মানিকচক থানা এলাকায়। গাজোলে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। মানিকচকে মারা গিয়েছে এক নাবালিকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতরা হলেন সায়েম আলি (‌২৭)‌, যোহন সোরেন (‌৫৫)‌, শান্তি সাউরিয়া (‌৫৫)‌ ও তালাময়ী চঁড়ে (‌৩৫)‌। এঁদের বাড়ি গাজোল থানা এলাকায়। অন্যদিকে মানিকচকে মৃত নাবালিকার নাম সুবি খাতুন (‌১২)‌। সেখানে আহত হয়েছেন এক মহিলা। এদিন বিকেল থেকে জেলাজুড়ে বজ্র‌বিদ্যুৎ-‌সহ বৃষ্টি শুরু হয়। মুহুর্মুহ বজ্রপাত ঘটে। ওই সময় গাছ থেকে আম পাড়ছিলেন গাজোল থানার বৈরগাছি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিয়াগ্রামের বাসিন্দা সায়েম আলি। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্ত্রী রাশেদা বিবি। ওই সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সায়েম। জখম হন স্ত্রীও। তাঁদের হাতিমারি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা সায়েমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, স্বামীকে খুনের অভিযোগে ধৃত স্ত্রী-সহ ২ ]

অন্যদিকে, গাজোলের করকচ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাগমারিডাঙাতে বাজে মৃত্যু হয় শান্তি শাউরিয়া ও তালাময়ী চঁড়ের। তাঁরা ভুট্টার ক্ষেতে কাজ করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরও খেতমজুর ছিলেন। আচমকা বজ্র‌বিদ্যুৎ-‌সহ বৃষ্টি শুরু হলে তাঁরা একটি ছাউনির মধ্যে গিয়ে দাঁড়ান। সেই সময়ই বাজ পড়ে। তখনই শান্তি ও তালাময়ীর মৃত্যু হয়। শান্তির বাড়ি ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরডাঙি গ্রামে এবং তালাময়ীর বাড়ি নিত্যানন্দপুরে। সেখানে আহত হয়েছেন এক মহিলা। তিনি গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর এক মৃত যোহন সোরেনের বাড়ি পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামুয়া গ্রামে। তিনি ঘটনার সময় নিজের টিনের ছাউনির বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় বাজ পড়ার ফলে তিনি জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাতিমারি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি আহতরা গাজোলের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে মৃত কিশোরী সুবি খাতুনের বাড়ি মানিকচক থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সে এদিন ঘটনার সময় বাড়ির বাইরে ছিল। বাজে জখম হলে তাকে মানিকচক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জখম হয়েছেন নার্সিস বিবি (‌২৬)‌ নামে এক মহিলা। তাঁর চিকিৎসা চলছে মানিকচক হাসপাতালে। এদিন মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন জেলা সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। ওই পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেন সভাধিপতি।

[ আরও পড়ুন: শিক্ষক-অভিভাবক হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র রায়গঞ্জের স্কুল, আহত ১ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement