সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বুলবুলির দাপটে শনিবার রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন দ্বীপ এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক কাঁচা বাড়ি, গাছ। বিভিন্ন এলাকায় কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে জনজীবন। শনিবার রাতেই ঝড়ের দাপটে ফ্রেজারগঞ্জে ডুবে গেল মৎস্যজীবীদের চারটি ট্রলার। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে এক মৎস্যজীবীর দেহ। এখনও নিখোঁজ আটজন। হদিশ মেলেনি কয়েকটি ট্রলারেরও।
বুলবুলের মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সতর্ক ছিল প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হয়েছিল বাসিন্দাদের। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই সতর্কবার্তা পেয়ে শনিবার রাতে নামখানার ফ্রেজারগঞ্জের পাতিবুনিয়া খালে নোঙ্গর করা হয়েছিল প্রায় চল্লিশটি মাছ ধরার ট্রলার। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে তার মধ্যে চারটি ট্রলার জলে ডুবে যায়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। রবিবার সকালে নিখোঁজ এফবি চন্দ্রানী ট্রলারের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় এক মৎস্যজীবীর দেহ। জানা গিয়েছে, মৃত সঞ্জয় দাস কাকদ্বীপের স্টিমার ঘাটের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির পরিবার দেহটি শনাক্ত করেছে।
তবে ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ আরও ৮ জন মৎস্যজীবী। নিখোঁজদের সন্ধানে চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, মোট বারোজন মৎসজীবী ছিলেন ওই ট্রলারটিতে। তাঁদের মধ্যে তিনজন ট্রলার উলটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাঁতরে পাড়ে উঠে আসতে সক্ষম হন। এফবি কমলা নামক ট্রলারটি ঝড়ের তাণ্ডবে ডুবে গেলে সেটিতে থাকা মৎস্যজীবীরাও সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন। তবে এখনও নিখোঁজ বাকি দুটি ট্রলারে কতজন ছিলেন বা কে কে ছিলেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, মৃত মৎস্যজীবীর দেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। নিখোঁজ ৮ মৎস্যজীবী ও ট্রলারগুলির সন্ধানে চলছে তল্লাশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.