ছবি: প্রতীকী
রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: দিঘার সমুদ্রে ট্রলারডুবি। শুক্রবার সকালে মাছ ধরে কৃপাময়ী ৪ নামে ওই ট্রলারটি করে দিঘা মোহনার দিকে ফিরছিলেন এগারোজন মৎস্যজীবী। কিছুটা পথ যাওয়ার পরই বোল্ডারে ধাক্কা লেগে উলটে যায় ট্রলারটি। দশজন মৎস্যজীবী সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারেন। একজন নিখোঁজ হয়ে যান। তবে কিছুক্ষণের চেষ্টায় ওই মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরে হরিপদ মাঝির মালিকাধীন কৃপাময়ী ৪ নামে ট্রলারে করে মাছ ধরে বেড়াচ্ছিলেন এগারোজন মৎস্যজীবী। সমুদ্রে মাঝ ধরার পর শুক্রবার দিঘা মোহনা থেকে নন্দীগ্রাম ফিরছিলেন সকলেই। উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে আপাতত মৎস্যজীবীদের মাঝসমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই তড়িঘড়ি দিঘা মোহনা থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করছিলেন ওই মৎস্যজীবীরা। মাঝপথে আচমকাই বিপত্তি। একটি ক্যানালের কাছে বোল্ডারে ধাক্কা লাগে ট্রলারটির। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাঝসমুদ্রে উলটে যায় কৃপাময়ী ৪। এগারোজন মৎস্যজীবীই সমুদ্রে তলিয়ে যান। তবে সাঁতরে কোনওক্রমে পাড়ে চলে আসেন ১০জন। এই ঘটনার পর নিখোঁজ হয়ে যান এক মৎস্যজীবী। উদ্ধারকারী দল তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। মাত্র কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় ওই মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়। মৎস্যজীবীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে দিঘা মোহনা তীরবর্তী ওই ক্যানালের ড্রেজিং করা হয় না। তাই বোল্ডারে ধাক্কা লেগে কৃপাময়ী ৪ নামে ওই ট্রলারটি মাঝসমুদ্রে উলটে যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত নভেম্বরে বুলবুলের তাণ্ডবের মাঝেই মাছ ধরতে গিয়ে নামখানার ফ্রেজারগঞ্জের কাছে পাতিবুনিয়ায় চিনাই নদীতে ডুবে গিয়েছিল এফ বি মা চন্দ্রাণী ট্রলার। সেই ট্রলারে ছিলেন অন্তত নজন মৎস্যজীবী। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার কর্মী এবং আধিকারিকদের তৎপরতায় একে একে প্রায় সকলের দেহই উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয় ডুবে যাওয়া ওই ট্রলারটিও। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ট্রলারডুবিকে কেন্দ্র করে এবার শিরোনামে দিঘা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.