রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: অবশেষে দিঘায় দেখা মিলল ইলিশের৷ সংখ্যায় যথেষ্ট না হলেও মৎস্যজীবীদের জালে সমুদ্রের রুপোলি শস্য উঠতে শুরু করেছে৷ তাতেই খুশি মৎস্যজীবী, মাছ ব্যবসায়ী থেকে ইলিশ ভক্তকুল৷ শুক্র এবং শনিবার দিঘা মোহনায় ইলিশের এমন উপস্থিতির খবরে সাড়া পড়ে যায় এলাকায়৷
সেই অর্থে বৃষ্টির দেখা নেই দক্ষিণবঙ্গে৷ ধানের জমি প্রায় ফুটিফাটা৷ বৃষ্টির পথ ধরে যার আসার কথা, সেই ইলিশও সমুদ্রের কোথায় যেন গা-ঢাকা দিয়েছে৷ বড় ইলিশ নাই বা পাওয়া গেল, খোকারাও বেপাত্তা৷ তবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি পড়েছে এই উপকূলীয় এলাকায়৷ তাতেই ছোটাছুটি শুরু হয়েছে ইলিশপাড়ায়৷ ওঁত পেতে থাকা মৎস্যশিকারিদের মন থেকেও দুশ্চিন্তার মেঘ কিছুটা হলেও কাটতে শুরু করেছে৷
শুক্র ও শনিবার দিঘা মোহনার নিলাম বাজারে (অকশন মার্কেট) দেখা মিলল ইলিশের৷ বেশি বড় না হলেও পাঁচশো থেকে ছয়শো গ্রাম, কিছু পরিমাণ ছিল সাতশো থেকে আটশো গ্রাম ওজনের ইলিশও৷ বহর এবং ওজন অনুযায়ী ছয়শো থেকে হাজার টাকা দামে বিকিয়েছে এই রুপোলি শস্য৷ দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “বৃষ্টি পড়লে ইলিশের দেখা পাওয়া যায়৷ সেটাই স্বাভাবিক ঘটনা৷ এবার কম বৃষ্টি পড়েছে বলে এখনও পর্যন্ত অল্প পরিমাণ ইলিশ মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে৷ আরও বৃষ্টি নামলে আশা করি ইলিশের খরা কাটবে৷”
তাঁর মতো ইলিশের খরা কাটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই৷ কারণ সারা বছর যাই হোক, বর্ষায় ইলিশ ধরা এবং তা বেচে রোজগার বাড়াতে সব মৎস্যজীবীই চান৷ সেই কথা মনে করিয়ে সুদিনের আশায় দিন গুনছেন অনন্ত মাজির মতো অনেকেই৷ অনন্তবাবুরা সমুদ্র থেকে ইতিমধ্যে দেড় টন ইলিশ তুলতে পেরেছেন৷ বৃষ্টি পড়লে সেই পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী তিনি। বলেন, “বৃষ্টি যেই নেমেছে, সমুদ্রে ইলিশ উঠতে শুরু করেছে৷ বৃষ্টির মরশুম রয়েছে৷ আশা করি আরও বৃষ্টি পড়বে এবং আমরা আরও বেশি পরিমাণ ইলিশ পাব৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.