চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: গোটা সেদ্ধের পাতে ডিমান্ড ছিল কয়লা খাদানের মাছের৷ পরিত্যক্ত খাদানের মাছের সাইজ বড়, ওজন বেশি ও টাটকা৷ তাই বেশি দাম দিয়েও আসানসোলের বাঙালিরা বাজার থেকে খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসেন খাদানে বেড়ে ওঠা রুই-কাতলা- মৃগেল৷
[ অর্থাভাবকে হারাতে খেয়াইবান্দার ব্রহ্মাস্ত্র যৌথ চাষ]
সরস্বতী পুজোর পর দিন শীতল ষষ্ঠী। ওইদিন দিনভর বাড়িতে বন্ধ থাকে রান্নাবান্না৷ আগের দিনের রান্না করা গোটা সেদ্ধ খান বাঙালিরা৷ চড়া দাম হলেও বাজার থেকে গোটা সেদ্ধর সামগ্রী হিসাবে শিষ পালং, গোটা মুগ, গোটা বেগুন, গোটা শিম, গোটা কড়াইশুঁটি, টোপা কুল, সজনে ফুল কিনে আনেন৷ তবে গোটা সেদ্ধর পাতে থাকে মাছের আইটেমও। তাই ব্যবসায়ীরা হরেক কিসেমের মাছ নিয়ে আসেন বাজারে । তবে বাজারে চাহিদা থাকে টাটকা রুই ও কাতলার। তাও আবার এক একটি ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের। বলা ভাল জায়ান্ট সাইজের মাছের। ভাতে- মাছে বাঙালি সারা বছর অন্ধ্রের মাছ বা চালানি মাছ খেলেও এদিন ব্যাপারটা অন্যরকম৷ বেশি টাকা দিয়েও টাটকা মাছের প্রতি ঝোঁক থাকে বেশি৷ আসানসোলের বাজারে সেই চাহিদা এবার পূরণ করল কয়লা খাদানের চাষ করা মাছ৷ মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, চালানি রুই এক থেকে দেড় কেজি ওজনের দাম ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। খাদানের টাটকা রুইমাছের দাম ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি।
চালানি বা অন্ধ্রের কাতলা এক কেজি ওজনের দাম ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। সেখানে খাদানের টাটকা কাতলার দাম ছিল ৪৪০ থেকে ৪৫০টাকা। মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে ছিল মাছের দাম। তবু উৎসাহে ভাটা ছিল না এদিন। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পশ্চিম বর্ধমানে মাছের চাষ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা মৎস্য দফতর। গোটা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেই ইসিএলের বহু পরিত্যক্ত খনি রয়েছে যেগুলি জলে ভরতি। জেলার ৮টি ব্লকের মধ্যে ৬টি ব্লকের এমনই ২০টি খোলামুখ খনিতে মাছ চাষ শুরু হয়েছে। এই ২০টি খনি থেকে মাছ উঠেছে ৮৬ টনের মতো।
[ ইভটিজারদের হামলায় চুল হলুদ, নতুন উপদ্রব উত্তরপাড়ায়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.