দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: গঙ্গাসাগরের ইতিহাসে এই প্রথম মেলা প্রাঙ্গন থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে রোগীদের নিয়ে যাওয়া হল কলকাতার হাসপাতালে। আগে রোগীদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হত। এই প্রথম রাজ্যের কোনও মেলায় ব্যবহার করা হল এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। যার ফলে প্রাণে বাঁচলেন মুুমুর্ষ ২ তীর্থযাত্রী।
প্রশাসন সূত্রে খবর, অসমের বাসিন্দা অনিমা দাস ও হাওড়ার আমতার বিকাশ বেজ। মেলা প্রাঙ্গনে এসে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়া হয় সাগর হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় একজনকে পাঠানো হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। অন্যজনকে হাওড়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ দেবাশিস রায় বলেন, বিকাশ বেজ নামে ওই রোগী হাইপোথারমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ওই হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা নেই। সেই কারণেই তাঁকে স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। অন্যদিকে, অনিমা দাসের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই তাঁদের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়। এ বিষয়ে জেলাশাসক পি উলাগানাথান জানান, দুজনেরই চিকিৎসা চলছে। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেওয়ার জন্য পরিবহন দপ্তরকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তাঁর কথায়, এই পরিষেবা মেলায় দর্শনার্থীরা অত্যন্ত উপকৃত হবেন।
এদিনের ঘটনার আরও বেশি করে দর্শনার্থীদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রেখেছে জেলা প্রশাসন। মেলায় আসা দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে হাসপাতালগুলিকে অতিরিক্ত পরিষেবা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি হাসপাতালকে সবরকমভাবে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তা সামাল দেওয়ার জন্য। সাগর হাসপাতালে বানানো হয়েছে অস্থায়ী আইসিইউ ও সিসিইউ। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে মেলার বিভিন্ন প্রান্তে। প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ভক্তের ঢল নামে সাগরে। এবছর দর্শনার্থীদের সংখ্যা অন্যবছরের তুলনায় বেশি হবে বলেই মনে করা হয়েছে। সেই কারণেই বাড়ানো হয়েছে সবরকম নিরাপত্তা।
ছবি: অরিজিৎ সাহা
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.