ফাইল ফটো
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাজ্যের প্রায় সব ক’টি জেলাই করোনা আক্রান্ত। এতদিন পূর্ব বর্ধমান জেলায় থাবা বসাতে পারেনি মারণ ভাইরাস। কিন্তু এবার সেই স্বস্তিও উধাও। এই জেলার খণ্ডঘোষে এক ব্যক্তির শরীরে মিলল নোভেল করোনা ভাইরাস। তিনি আপাতত দুর্গাপুরের পানাগড়ের COVID হাসপাতালে ভরতি। তাঁর পরিবার এবং প্রতিবেশীদের ৩১ জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। এঁদেরও করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে খবর। আজ সকালে খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে গ্রামটি।
গত ৮ এপ্রিল, অর্থাৎ লকডাউনের প্রথম দফা চলাকালীন কলকাতা থেকে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে ফিরেছিলেন বছর তেতাল্লিশের এই ব্যক্তি। তিনি কলকাতার একটি এমব্রয়ডারি সংস্থার কর্মী। লকডাউনের মাঝেই বাইকে তিনি কাজের জায়গা থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ১৬ তারিখ জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি হন বর্ধমানের একটি হাসপাতালে। চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে সরাসরি COVID হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরেরদিন অর্থাৎ শুক্রবার নমুনা সংগ্রহ করে সোয়াব টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। শনিবার রাতে রিপোর্ট আসে। দেখা যায়, তিনি COVID-19 পজিটিভ। এরপরই তাঁকে পানাগড়ের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জেলায় এই প্রথম কোনও ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হওয়ায় জেলা প্রশাসন আরও সাবধানী হয়ে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে সিল করে দেওয়া হয়েছে গ্রামটি। সেখানে কারও প্রবেশ বা সেখান থেকে কারও বেরনোয় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, “এখানে একজন করোনা পজিটিভ। তাঁকে দুর্গাপুরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। বাড়ি এবং পাড়ার ৩১ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে।” পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রামটাকে Containment করে তা পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওখান থেকে কেউ বেরতে পারবেন না বা বাইরে থেকে কেউ ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছু প্রশাসনের তরফে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রতি মুহূর্তে প্রচার চলছে।” আপাতত এই জেলায় একজন করোনা আক্রান্ত, তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকা কারও মধ্যেও এই সংক্রমণ ঘটেছে কি না, তা সোয়াব টেস্টের পরই বোঝা যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.