নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হতেই দলের মহাসচিবকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গ্রেপ্তার পর ফুঁসে উঠেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সিবিআইয়ের সমালোচনা করে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কেষ্টর। তাঁকে অনুসরণ করে দলের একাধিক নেতা-নেত্রী বারংবার অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়েছেন। যেমন শনিবার বীরভূমে দাঁড়িয়ে কেষ্টর সঙ্গে বাঘের তুলনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বললেন, “অনুব্রত মণ্ডল বাঘ। ওঁকে চিরকাল খাঁচায় আটকে রাখা যাবে না।”
রামপুরহাটের ২ ব্লকের কমলদিঘি এলাকায় শনিবার দলীয় সভায় যোগ দিয়েছিলেন ফিরহাদ। সেই সভামঞ্চ থেকেই অনুব্রতকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। ফিরহাদের কথায়, “অনুব্রত মণ্ডল বাঘ। চিরকাল খাঁচাবন্দি করে রাখা যাবে না। বাঘ খাঁচায় থাকলে শিয়ালরা লাফালাফি করে।”
উল্লেখ্য, অনুব্রতর গ্রেপ্তারির পর থেকেই বীরভূমে সক্রিয় বিরোধীরা। বিশেষত অনুব্রতহীন বীরভূমে ঘনঘন সভা করছে বিজেপি। তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হচ্ছে তারা। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিলেন তৃণমূলের পুরনো দিনের সৈনিক ফিরহাদ। বললেন, “বাঘ বেরিয়ে পড়লেই শিয়ালরা পালাতে শুরু করবে। আপনারা চিন্তা করবেন না, অনুব্রত বেরলেই বাকিরা পালিয়ে যাবে।”
দিন কয়েক আগে বীরভূমে সভা করতে এসে তৃণমূলের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদা। এদিন পালটা দিয়ে ফিরহাদ বলেন, “কেউ কেউ এসে তৃণমূলেপর বিরুদ্ধে কুৎসা করে গিয়েছেন। বিভ্রান্ত হবেন না। কাজের নিরিখে বিচার করুন।” উল্লেখ্য, এর আগে দেউচা পাচামি প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ স্বরূপ গ্রুপ ডি-র চাকরির নিয়োগপত্র দিতে বীরভূমে গিয়েছিলেন ফিরহাদ। তখনও সভামঞ্চ থেকে অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যা দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলকে পাশে পায়নি কিন্তু অনুব্রতর পাশেই রয়েছে তৃণমূল। ফিরহাদের মন্তব্য এদিন তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.