ছবি: প্রতীকী
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোবিন্দপুরে বাজি কারখানায় বিস্ফারণের ঘটনার পর এবার ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনীকে ঘটল বিস্ফোরণ৷ পঞ্চমীর দুপুরে ধীতপুর গ্রামের একটি বাজি কারখানায় বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে জখম একই পরিবারের ৩ সদস্য। আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। দুই মহিলা-সহ মোট ৩ জন আহতকে স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়েছে। বাজি ফেটে পুরো বাড়িটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতরা হলেন ঘুরন সিং, তাঁর স্ত্রী নমিতা সিং ও তাঁদের এক আত্মীয় জলেশ্বরী সিং। পুলিশ জানিয়েছে, এটি কোনও স্থায়ী বাজি করাখানা নয়। এলাকায় নবমীর দিন রাবণ পোড়ানোর অনুষ্ঠান রয়েছে৷ ঘুরন সিং বাজি তৈরির বরাত পেয়েছিলেন৷ চাষবাস পারিবারিক পেশা হলেও ঘুরন সিং প্রতিবারই পুজোর মরসুমে বাজি তৈরির বরাত নিতেন৷ এছাড়া এলাকায় লোকশিল্পী বলে ঘুরনবাবু পরিচিত। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ঘুরন বাবু, স্ত্রী ও এক আত্মীয় বাড়িতে বাজি তৈরির কাজ করছিলেন৷ বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ রাবণের কাঠামোর ভিতরে বাজি ভরতি করার সময় হঠাৎই বিস্ফোরণ ঘটে৷ মাটির দেওয়াল, খড়ের ছাউনির ঘরে বাজির আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে এলাকার লোক জমা হয়ে যায়। স্থানীয়রা জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা বাড়ি।
[মোবাইলের আলোয় দেড় ঘণ্টা অপারেশন, সারমেয়কে বাঁচিয়ে নজির পশুপ্রেমীদের]
এদিনের এই ঘটনা প্রসঙ্গে গোপীবল্লভপুর বিধান সবার বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো বলেন, ‘‘আমি আগামিকালই আমার বিধানসভার ওই গ্রামে যাব। আহতদের সঙ্গে কথা বলব। কীভাবে ঘটনা ঘটল তা জানব।” এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভরতরাঠোর বলেন, “ওটি কোন বাজি কারখানা নয়। রাবন পোরার জন্য বজি ভরছিল। সেখান থেকে কোনভাবে আগুন লেগে যায়। ৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করানো হয়েছে৷’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.