চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: করোনা সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব তৈরি করা হচ্ছে। তাই জারি রয়েছে লকডাউন। তার ফলে অনেকেরই মনে হচ্ছে সমাজবদ্ধ জীব হওয়া সত্ত্বেও আমরা সকলের থেকে দূরে সরে যাচ্ছি না তো? তাই গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে রবিবার রাত নটায় ন’মিনিটের জন্য প্রদীপ, মোমবাতি, মোবাইলের ফ্ল্যাশ কিংবা টর্চ জ্বালানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির এই পরামর্শ এখন দমকল কর্মীদের ভাবাচ্ছে। ঘরের ভিতর মোমবাতি কিংবা বাতি জ্বালাতে গিয়ে যাতে কোনও বিপদ না হয়, তাই সাবধানতা অবলম্বনের বার্তা দিলেন আসানসোলের দমকল বিভাগ।
শিল্পাঞ্চলবাসীকে সাবাধানতা অবলম্বনের বার্তা দেওয়া হয়। মোমবাতি বা প্রদীপ বাড়ির মধ্যে জ্বালানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। দমকলের তরফে বলা হয়েছে, মোমবাতি ঘরে জ্বালাবেন না। বাড়ির ছাদে বা সামনে জ্বালানোর চেষ্টা করুন। ঘরের ভিতর জ্বালালে পর্দা, কাপড়, কাগজপত্র থেকে মোমবাতি কিংবা প্রদীপ দূরে রাখুন। ন’মিনিট সময় পেরিয়ে গেলে মোমবাতি, প্রদীপ নিভিয়ে ফেলুন। ঢিলেঢালা পোশাক পরে ভুলেও মোমবাতি জ্বালাবেন না। তবে দমকল কর্মীদের পরামর্শ অনুযায়ী, ঘরের ভিতর টর্চ কিংবা ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোই ভাল। নইলে বিপদ হতে পারে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর প্রদীপ বা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের বার্তায় রবিবার সকাল থেকেই প্রদীপ বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। প্রদীপ বিক্রেতা রাজারাম পণ্ডিত বলেন, “গত বছর দিপাবলির সময় অনেক মাটির প্রদীপ বেঁচে গিয়েছিল। সেই সময় চাইনিজ আলোর চাহিদা বেশি থাকায় প্রদীপগুলি বেঁচে যায়। এখন দেখছি মাটির প্রদীপের খোঁজ বেড়েছে। দিপাবলিতে বেঁচে যাওয়া মাটির প্রদীপ আছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন অনেকেই। চাহিদা আছে দেখে সেগুলি বের করে ফের বিক্রি শুরু করি।” করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় চলছে লকডাউন। তার ফলে বর্তমানে ছোট ব্যবসায়ীদের বিক্রিবাটা প্রায় নেই বললেই চলে। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রদীপ তৈরির কারিগররাও। মন্দার বাজারে আচমকা বিক্রির সুযোগ পেয়ে খুশি তাঁরা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.