সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার আগেই অশান্তি। পুরুলিয়ার জয়পুর আর বিবি হাইস্কুলের মাঠে সভামঞ্চের একাংশে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের যোগসাজশ রয়েছে। যদিও সে দাবি নস্যাৎ করেছে ঘাসফুল শিবির।
গত ১৯ জানুয়ারি পুরুলিয়ায় সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সভামঞ্চ থেকে বিরোধী বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন। নিশানায় ছিলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী শুভেন্দু অধিকারীও। তারই পালটা হিসাবে বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় পুরুলিয়ার জয়পুর আর বিবি হাইস্কুলের মাঠে সভা করার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। তবে এই সভা ঘিরেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা। বিজেপি নেতা-কর্মীদের দাবি, বুধবার বিকেলের দিকে এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। আর তারপর থেকে এলাকায় উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে। রাতের দিকে জয়পুর আর বিবি হাইস্কুলের মাঠে বিজেপির সভামঞ্চের একাংশে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পেট্রল ঢেলে পুরো সভামঞ্চই দুষ্কৃতীরা পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলেই অভিযোগ তাদের। বিজেপির দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যুক্ত। পুলিশের বিরুদ্ধেও উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন গেরুয়া শিবিরের অনেকে।
যদিও বিজেপির দাবিকে মোটেও পাত্তা দিতে নারাজ ঘাসফুল (TMC) শিবির। তাদের দাবি, কোনওভাবেই তৃণমূল নেতা-কর্মীরা একাজ করতে পারে না। গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য সভামঞ্চে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়ে থাকতে পারে বলেই পালটা দাবি তৃণমূলের। তবে গোষ্ঠী সংঘর্ষের দাবিকে একেবারেই আমল দিতে নারাজ পদ্ম শিবির। এই পরিস্থিতিতে দুপুর একটায় সভামঞ্চ থেকে ঠিক কী বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী, সেদিকেই নজর সকলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.