হাওড়ায় পুড়ে ছাই শতাধিক ঝুপড়ি। নিজস্ব চিত্র।
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। দাউদাউ করে জ্বলল মাথা গোঁজার শেষ ঠাঁইটুকু। স্থানীয় বাসিন্দা, দমকলের শত চেষ্টা সত্বেও শতাধিক পরিবারের শেষ সম্বল বাঁচানো গেল না। আগুনে পুড়ে ছাই হল বস্তির শতাধিক ঘর। সব হারিয়ে এখন শতাধিক পরিবারের ঠাঁই হয়েছে স্কুলে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ আগুন লাগে হাওড়ার জগাছা থানা এলাকার ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের ধারে ইছাপুর দক্ষিণপাড়ার সর্বহারা বস্তিতে। আগুন লাগার পরই একের পর এক সিলিন্ডার ফাটতে থাকে। প্রায় ১০ থেকে ১৫টি সিলিন্ডার ফাটে বলে জানান বস্তির বাসিন্দারা। সেখান থেকেই আগুন আরও ছড়িয়ে প্রায় ১০৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওখানে থাকা ১১২টি ঘরের মধ্যে ১০৫টি ঘর ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকলের ১২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।
কিন্তু কী থেকে আগুন লাগল?
শংকর পোড়েল নামে বস্তির এক বাসিন্দা জানালেন, ওই বস্তিতেই থাকা অপর এক ব্যক্তি তাঁর ঘরে বসে রান্না করছিলেন। কাঠ ও কাগজ জ্বালিয়ে রান্না করার সময়ই কোনওভাবে ওই ব্যক্তির ঘরে আগুন লেগে যায়। সেখান থেকেই আগুন ছড়ায় পাশাপাশি থাকা অন্য ঘরগুলিতে। প্রথমে নিজেরাই জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তার পর দমকলকে খবর দেন। দমকল আধিকারিক ও কর্মীদের তৎপরতায় দ্রুত আগুন নেভে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের তরফে পুড়ে যাওয়া ১০৫টি ঘরের শিশু-সহ প্রায় ৫০০ জন বাসিন্দাকে ইছাপুরেরই একটি স্থানীয় স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এদিন খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিপূর্বেই বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের একটি তহবিল গঠন করেছেন। সেখান থেকে ও হাওড়া পুরসভার সাহায্যে অসহায় পরিবারগুলির জন্য ওখানে কিংবা অন্যত্র ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.