ছবি: প্রতীকী।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নকল সিম কার্ডে জালিয়াতি। ওটিপি বিক্রি করে অনলাইনে আয় করত কোটি কোটি টাকা আয়! সাঁইথিয়া জালিয়াতি কাণ্ডে ধৃতদের জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের কাগাস গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে নকল সিম ব্যবহার করে নানারকম কারবার চলছে, তা জানতে পারে পুলিশ। কিছু সোনার ব্যবসায়ী ওই সিম ভাড়া নিয়ে ক্রেতাদের জানাতেন তাঁরা মাটির তলায় সোনার কয়েন পেয়েছেন। প্রলোভন দেখিয়ে অনেককে ফাঁদে ফেলতেন। এরপর সোনার জল করা সামগ্রী বিক্রি করে টাকা আয় করত। সাঁইথিয়া থানার পুলিশ জানায়, প্রতারিতরা কিছুতেই প্রতারকদের সঙ্গে পরে আর ফোনে যোগাযোগ করতে পারতেন না। তাতেই তাদের প্রথম সন্দেহ হয়। এরপর ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসে একাধিক তথ্য। জানা যায় ভুয়ো সিমের বিষয়টা। সাঁইথিয়া থানার সঙ্গে সিউড়ির সাইবার ক্রাইম থানা মিলে একটা টিম গঠন করা হয়। রবিবার ক্রেতা সেজে সাদা কাগাস গ্রামে সেই সিম কিনতে যায় পুলিশ।
সেখান থেকে প্রণব মণ্ডল, মানব মণ্ডল, কার্ত্তিক চন্দ্র মণ্ডল ও অমিত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। সাইবার থানার সঙ্গে যৌথ অভিযানে বড়সড় সাফল্য হয়েছে জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানিয়েছেন। কিন্তু এই চক্রের পিছনে এত বড় জাল আছে তা জেনে হতবাক জেলা পুলিশ কর্তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তল্লাশিতে প্রচুর সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে, বেশ কিছু ই ওয়ালেটে কোটি কোটি টাকা থাকার হদিশ পেয়েছে তাঁরা। ধৃতরা সিমের সঙ্গে ওটিপি বিক্রি করে সেখান থেকে টাকা আয় করত, প্রকাশ্যে এমনই তথ্য। পুলিশ সুপার জানান, নকল সিম গুলিতে সব কিছু আসল কাজ হবে, অথচ যিনি ব্যবহার করবেন তার কোনও দায় থাকবে না। ফলে সেই সব সিম দিয়ে অপরাধীরা অনায়াসে হোয়াইট ক্রাইম করে বেড়াচ্ছে। সেই কারণেই বহু অসাধু ব্যবসায়ী ব্যবহার করতেন এই সিম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.