ছবি: অমিত সিংদেও
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কাউকে বন সহায়ক, কাউকে আবার হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী! নানান চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলেও শেষ রক্ষা হল না। প্রতারণার পর্দাফাঁস হতেই অভিযুক্তকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে শাস্তি দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ার (Purulia) বান্দোয়ানে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের বেশ কিছু যুবককে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সুনীল প্রামাণিক। তাঁর এই কাজের সঙ্গী ছিল গণেশ। টাকা দেওয়ার পর বছর পেরিয়ে গেলেও চাকরির নিয়োগ পত্র পাননি কেউ। পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে নানা অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যেত সুনীল। মঙ্গলবার সকালে এলাকার বেশ কিছু যুবক ওই দু’জনের বাড়িতে টাকা চাইতে গেলে নানা কারণ দেখাতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপরই সুনীলকে বাড়ি থেকে বের করে চৌ-রাস্তায় বেঁধে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রতারিত যুবকরা। ২ ঘণ্টা তাকে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুনীলকে। আগামিকাল তাকে তোলা হবে আদালতে।
ধাদকা গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব আচার্য বলেন, “বছর দেড়েক আগে সুনীল প্রামাণিক বাড়িতে এসে আমাকে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে। বিশ্বাস করে দাবি মতো তাকে প্রায় দু’ লক্ষ টাকা দিই। কিন্তু চাকরি হয়নি। টাকাও ফেরত পাইনি।” অন্যদিকে ধাদকা লাগোয়া বারুডি গ্রামের আরেক যুবক কৃষ্ণপদ মাহাতো বলেন, “আমাকে বনসহায়ক পদে ভুয়ো নিয়োগ পত্র পাঠানো হয়েছিল মোবাইলে। বাঁকুড়ার বড়জোড়াতে চাকরিতে জয়েন করতে যেতে বলেছিল সুনীল প্রামানিক। কিন্তু সেখান গিয়ে আধিকারিকদের কাছে জানতে পারি ওই নিয়োগপত্র জাল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.