Advertisement
Advertisement
tmc

সরকারি চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা আপ্ত সহায়কের! জিজ্ঞাসাবাদের মুখে TMC বিধায়ক

ধৃতদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি বিধায়কের।

Financial fraud in the name of job, 3 accused arrested | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 1, 2022 9:41 am
  • Updated:May 1, 2022 7:35 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে কয়েক লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে আগেই গ্রেপ্তার  করা হয়েছে নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক-সহ তিনজনকে। এবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে চলেছেন খোদ বিধায়ক। শোনা যাচ্ছে, কলকাতায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। যদিও বিধায়ক জানিয়েছেন পুলিশের তরফে তাঁকে এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

জানা গিয়েছে, গত ২০১৬ সাল থেকে তাপস সাহা ছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক। তবে বর্তমানে তিনি তেহট্টের বিধায়ক। তাঁর আপ্ত সহায়ক হিসাবে কাজ করতেন প্রবীরকুমার কয়াল। সেই সময় থেকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রবীর আর্থিক দুর্নীতি করত বলে বিস্তর অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। গত বুধবার বিধায়কের টাকা তছরুপের ঘটনায় তেহট্টে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিলেন রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। অভিযোগকারীদের একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় তারা। অভিযোগকারীদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৪০ দিনের লড়াই শেষে মৃত্যু বগটুইে দগ্ধ মহিলার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০]

কাউকে প্রাথমিক শিক্ষকের ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলে ফিরে যাওয়ার পর গোয়েন্দারা জানতে পারেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত তিনজন। সেই মতো শুক্রবার গভীর রাতে ওই হোটেলে হানা দেন আধিকারিকরা। সেখান থেকেই তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন আদালতে জামিনের বিরোধিতা করেন, নগর দায়রা আদালতের মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি দীপঙ্কর কুণ্ডু ও সরকারি কৌঁসুলি সঞ্জয় সিংরা। তাদের বক্তব্য, লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। সবেমাত্র একটি অভিযোগ হাতে এসেছে। আরও অভিযোগ রয়েছে।

সব অভিযোগ অস্বীকার করে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা প্রবীরকুমার কয়ালকে আপ্তসহায়ক হিসাবে মানতে নারাজ। বিধায়কের কথায়, “প্রবীর কোনওদিনই আমার আপ্তসহায়ক ছিল না। শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডলকে কোনওদিন আমি চিনি না। অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত।” ধৃতদের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে চলেছেন বিধায়ক, এমনটাই খবর। 

[আরও পড়ুন: হাঁসখালি গণধর্ষণ মামলায় সিবিআই হেফাজতে তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গয়ালি-সহ ২]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement