টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ভুয়ো ভ্যাকসিনের (Vaccine) পর জাল আধার কার্ড! পুলিশের জালে বাঁকুড়ার (Bankura) এক যুবক। মোটা টাকার বিনিময়ে বিষ্ণুপুর থানার মড়ার গ্রামে আধার কার্ড তৈরির ফাঁদ পেতেছিল ধৃত সজল পান্ডা।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার মড়ার গ্রাম। সেখানকার বহু মানুষেরই এখনও আধার কার্ড নেই। সেই সুযোগকেই কাজে লাগায় সজল। খুলে ফেলে আধার সেন্টার। ভারতের নাগরিকত্বের প্রমাণ স্বরূপ আধার কার্ড পেতে সঙ্গে নিয়ে যেতে হচ্ছিল ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এছাড়া দিতে হচ্ছিল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। জানানো হয়েছিল ৭ দিনের মধ্যে মিলবে আধার কার্ড। মান্নান খান নামে স্থানীয় এক ভিলেজ পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় প্রকাশ্যে আসে তথ্য। বাঁকুড়ার সোনামুখীর বাসিন্দা সজল হঠাৎ কেন মড়ার মতো একটা প্রত্যন্ত গ্রামে আধার কার্ড তৈরি করার অফিস খুলে বসল? আর এত বেশি টাকাই বা লাগছে কেন? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তল্লাশি শুরু হয়। বিষ্ণুপুর থানার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানানো হয় বিষয়টি। আর তাতেই পর্দা ফাঁস হয়। পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় সজল। পুলিশ ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি প্রিন্টার মেশিন-সহ বেশ কিছু যন্ত্রপাতি আটক করেছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা আস্থিরা মণ্ডল জানান, “বাড়ির সবার আধার কার্ড থাকলেও আমার করা হয়ে ওঠেনি। জানতে পারি গ্রামেই খোলা হয়েছে আধার কার্ড তৈরির অফিস। এই সুযোগ এবার আর হাতছাড়া না করেই টাকা পয়সা-সহ প্রমাণ পত্র হাতে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে জমা করি। সবই জলে গেল।” এ প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুর এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান বলেন, “সোনামুখীর বাসিন্দা এক ব্যক্তি মড়ার গ্রামে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির ফাঁদ পেতেছিল। আমরা সেই খবর পেয়ে ওই গ্রামে হানা দিয়ে প্রতারককে ধরেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.