সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: অবশেষে বিশাল পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ফিরলেন শাসকদলের ‘পলাতক’ কাউন্সিলর। জনরোষের ভয়ে এলাকাছাড়া ছিলেন দুর্গাপুর পুরনিগমের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডল। রবিবার দুপুরে বৃদ্ধা মা-কে সঙ্গে নিয়ে দুর্গাপুরের আশিসনগরের বাড়িতে ফিরলেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৯ এপ্রিল। সেদিন লোকসভা ভোট ছিল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে। স্থানীয় এক সিপিএম এজেন্টকে মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় দুর্গাপুর শহরের আশিসনগরে। ঘটনার পর জনরোষের মুখে পড়েন স্থানীয় কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। কাউন্সিলরের বাড়ি ও তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। আতঙ্কে সপরিবারে এলাকা ছাড়েন কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডল। বহুবার চেষ্টা করেও তাঁকে আর এলাকায় ফেরাতে পারেনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এমনকী, পুলিশের আশ্বাসের কাজ হয়নি। দুর্গাপুরের আশিসনগর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় রীতিমতো ‘দাদাগিরি’ করছেন কাউন্সিলর ও তাঁর দাদা। শেষপর্যন্ত কাউন্সিলর ও তাঁর বৃদ্ধা মা-কে এলাকায় ঢুকতে দিতে রাজি হন তাঁরা। সেইমতো রবিবার দুপুরে যখন রাজ্যের শেষদফার লোকসভা ভোট চলছে, তখন পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়িতে ফিরলেন দুর্গাপুর পুরনিগমের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডল। শুধু তাই নয়, নিজের কাজের জন্য এলাকার মানুষের কাছে তিনি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন বলে খবর।
তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। তবেই মানুষ গ্রহণ করবে।কাউন্সিলরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।” আর সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের প্রতিক্রিয়া, “ ঘরে ফিরে ভাল ছেলে হয়ে থাকুক। তাঁকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা ভদ্রভাবে পালন করুক তাহলেই হবে। এলাকায় সন্ত্রাস চালালে মানুষ যে জবাব দেবেন, এই ঘটনাই তার প্রমাণ।’
ছবি: উদয়ন গুহরায়
[আরও পড়ুন: উইকিপিডিয়ায় ভ্রান্তিবিলাস, প্রথম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বর্ধমানের ভূমিপুত্র!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.